
মনে রাখবেন নেইমারও। তার বাবা নেইমার সিনিয়রের ভাষায়, এ ম্যাচ দিয়ে ছেলের ‘শেষের চক্র’ শুরু হলো। ভিলা বেলমিরোর গ্যালারিতে বসে সান্তোসে ছেলের দ্বিতীয় অভিষেক দেখেছেন সিনিয়র। সেখানেই ম্যাচ শুরুর আগে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন এ কথা। আর ম্যাচে নেইমার বেশ ভালোও খেলেছেন। দারুণ এক গোলের সুযোগও তৈরি করেছিলেন। হয়েছেন ম্যাচসেরাও। তবে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারেননি। নেইমার মাঠে নামার সময় ১-০ গোলে এগিয়ে ছিল সান্তোস। এরপর একটি গোল করে ম্যাচটি ১-১ গোলে ড্র করেছে বোতাফোগো।
চোট কাটিয়ে ওঠা নেইমার জানিয়েছেন, তিনি এখনো শারীরিক ফিটনেস পুরোপুরি ফিরে পাননি। শৈশবের ক্লাব সান্তোসের হয়ে আবারও মাঠে নামার প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, ‘সান্তোসকে ভালোবাসি। এই রাতে (গতকাল) কেমন লাগছে তা ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না।’ মাঠে পুরো ছন্দে ফিরতে ৩৩ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড আরেকটু সময় চাইলেন, ‘আমাকে আরও ম্যাচ খেলতে হবে। এখনো শতভাগ ফিরে পাইনি। অনেক দৌড়ানো এবং খুব বেশি ড্রিবলও করতে চাইনি আজ রাতে (কাল)। আশা করি, চার–পাঁচ ম্যাচের মধ্যেই আরও ভালো অনুভব করব।’
সান্তোসের বয়সভিত্তিক দলে বেড়ে ওঠা নেইমার ২০১৩ সালে ক্লাবটি ছেড়ে বার্সেলোনায় যোগ দেন। দলবদলের বাজারে বিশ্ব রেকর্ড গড়ে ২০১৭ সালে যোগ দেন পিএসজিতে। সেখান থেকে সৌদি প্রো লিগের দল আল হিলাল ঘুরে নেইমার ফিরেছেন সান্তোসে।