খেলাধুলাফুটবল

২০২৬ বিশ্বকাপ টাস্কফোর্সের নেতৃত্বে ট্রাম্প

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০২৬ সালের ফিফা বিশ্বকাপের প্রস্তুতিতে সহায়তার জন্য গঠিত হোয়াইট হাউস টাস্কফোর্সের প্রধান হয়েছেন। তিনি টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যানের ভূমিকা পালন করবেন। যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জে ডি ভ্যান্সকে কমিটিতে ভাইস চেয়ারম্যান করা হয়েছে। তবে টাস্কফোর্সের দৈনন্দিন কার্যক্রম পরিচালনার জন্য একজন নির্বাহী পরিচালক নিয়োগ করা হবে।

মার্কিন প্রেসিডেন্টের কার্যালয় হোয়াইট হাউসে ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনোর সাক্ষাতের দিনে শুক্রবার (৭ মার্চ) এই টাস্কফোর্স গঠন করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। শনিবার (৮ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম এপি।

আগামী বছরের জুন-জুলাইয়ে ২৩তম ফিফা বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হবে। এই টুর্নামেন্টটি যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা এবং মেক্সিকোতে অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে ৪৮টি দল ১০৪টি ম্যাচ খেলবে। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে ৭৮টি, এবং কানাডা ও মেক্সিকোতে ১৩টি করে ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। ফাইনাল ম্যাচটি ১৯ জুলাই নিউ জার্সির মেটলাইফ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে।

ইএসপিএনের খবরে বলা হয়, ২০২৬ বিশ্বকাপ ফুটবল এমন সময়ে হতে চলেছে, যখন উত্তর আমেরিকা মহাদেশে শুল্ক আরোপ নিয়ে উত্তেজনা বাড়ছে। জানুয়ারিতে দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নিয়েই প্রতিবেশী কানাডা ও মেক্সিকোর ওপর শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের দুই প্রতিবেশী প্রতিক্রিয়াও দেখিয়েছে।

ট্রাম্প মনে করেন, এতে বিশ্বকাপের উত্তেজনা আরও বাড়বে, ‘আমার মতে, এটা ব্যাপারটাকে আরও উত্তেজনাময় করে তুলবে। টেনশন ভালো জিনিস।’

বিশ্বকাপের প্রস্তুতির জন্য টাস্কফোর্স নিরাপত্তা ও বিবিধ পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করবে। ধারণা করা হচ্ছে, বিশ্বকাপ দেখতে প্রচুর পর্যটকের সমাগম হবে যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো ও কানাডায়। ফিফা অফিশিয়ালদের সঙ্গে বৈঠকের পর বিশ্বকাপের মতো টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে পারা নিয়ে ট্রাম্প বলেছেন, ‘এটা আমাদের দেশের জন্য দারুণ সম্মানের বিষয়।’

বিশ্বকাপ আয়োজনের প্রস্তুতি মহাদেশটিতে যেমন এগিয়ে চলছে, তেমনি শুল্ক আরোপ করা নিয়ে ট্রাম্পের বারবার হুমকি দেওয়া, বাজার অস্থিতিশীল করে তোলা, যেটা বাণিজ্যযুদ্ধে রূপ নিয়ে অর্থনৈতিক মন্দাও ডেকে আনতে পারে।

এ ছাড়া কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডুকে নিয়ে মর্যাদাহানিকর মন্তব্য করার পাশাপাশি কানাডা যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্য হয়ে যেতে পারে বলে মন্তব্যও করেছেন ট্রাম্প। এই কথার পর দুই দেশের সীমান্তে উত্তেজনাও বেড়েছে।

তবে, ট্রাম্পের অভিবাসন নীতির কারণে কিছু উদ্বেগ রয়েছে, যা বিশ্বকাপের সময় বিদেশি দর্শকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে প্রভাব ফেলতে পারে। বিশেষ করে, ভিসা প্রক্রিয়ার দীর্ঘসূত্রিতা এবং সম্ভাব্য নিষেধাজ্ঞা নিয়ে আলোচনা চলছে।

এছাড়াও, ট্রাম্পের নেতৃত্বে বিশ্বকাপ ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক ক্রীড়া ইভেন্ট আয়োজনের সময় মানবাধিকার, পরিবেশ এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক নীতিমালার প্রতি মনোযোগ দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করা হয়েছে। ট্রাম্পের জাতীয়তাবাদী দৃষ্টিভঙ্গি এবং বিতর্কিত রাজনৈতিক অবস্থানের কারণে এই বিষয়গুলোতে চ্যালেঞ্জ দেখা দিতে পারে।

সংশ্লিষ্ট খবর

Back to top button