fbpx
বাংলাদেশঅপরাধআইন-বিচার

বুয়েট ছাত্র আবরার হত্যায় ২০ আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল

বহুল আলোচিত বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ২০ আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। এছাড়াও ৫ আসামির যাবজ্জীবন দেওয়া হয়েছে। রোববার (১৬ মার্চ) বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় আদালতে আবরার ফাহাদের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কে বি রুমি, জহিরুল ইসলাম সুমন, নূর মোহাম্মদ আজমী, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার সুমাইয়া আজিজ। আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী মাসুদ হাসান চৌধুরী, আজিজুর রহমান দুলু।

abrar father
রায়ে সন্তুষ্ট আবরার ফাহাদের বাবা বরকতউল্লাহ

রায় ঘোষণার পর আবরার ফাহাদের বাবা বরকত উল্লাহ বলেন, সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে র‍্যাগিংয়ের রাজনীতি বন্ধ করতে হবে। এ সময় দ্রুত রায় কার্যকরের দাবিও জানান তিনি।

আবরার ফাহাদের ভাই ফাইয়াজ বলেন, এই রায়ে আমরা সন্তুষ্ট। তবে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি জেমি পালিয়ে যাওয়ার বিষয়টি মেনে নিতে পারছি না।

অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেন, এই রায়ের মাধ্যমে আবরার ফাহাদের পরিবার এবং জাতি ন্যায় বিচার পেয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষ হিসেবে এই রায়ে আমরা সন্তুষ্ট।

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি আসামিদের মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন, জেল আপিল ও আপিলের ওপর শুনানি নিয়ে মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ (সিএভি) রাখে হাইকোর্ট। পরে আজ রোববারের কার্যতালিকায় মামলাটি রায়ের জন্য রাখা হয়।

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর বুয়েটের শেরেবাংলা হল থেকে তড়িৎ ও ইলেকট্রনিকস প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় আবরারের বাবা চকবাজার থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে ওই বছরের ১৩ নভেম্বর বুয়েটের ২৫ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। এরপর ২০২১ সালের ৮ ডিসেম্বর মামলাটির রায় হয়।রায়ে ২০ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয় আদালত।

মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আসামিরা হলেন, মেহেদী হাসান রাসেল, মো. অনিক সরকার, মেহেদী হাসান রবিন, ইফতি মোশাররফ সকাল, মো. মনিরুজ্জামান মনির, মো. মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন, মো. মাজেদুর রহমান মাজেদ, মো. মুজাহিদুর রহমান, খন্দকার তাবাককারুল ইসলাম তানভীর, হোসাইন মোহাম্মদ তোহা, মো. শামীম বিল্লাহ, এ এস এম নাজমুস সাদাত, মোর্শেদ অমর্ত্য ইসলাম, মুনতাসির আল জেমি, মো. শামসুল আরেফিন রাফাত, মো. মিজানুর রহমান, এস এম মাহমুদ সেতু, মোর্শেদ-উজ-জামান মণ্ডল জিসান, এহতেশামুল রাব্বি তানিম ও মুজতবা রাফিদ।

যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, মুহতাসিম ফুয়াদ হোসেন, মো. আকাশ হোসেন, মুয়াজ আবু হুরায়রা, অমিত সাহা ও ইশতিয়াক আহমেদ মুন্না।

মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আসামি মুনতাসির আল জেমি গত বছরের ৬ আগস্ট গাজীপুরের হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের দেয়াল ভেঙে পালিয়ে যায়।

সংশ্লিষ্ট খবর

Back to top button