
অপেক্ষার প্রহর গণা শেষ। হামজা চৌধুরী অবশেষে পা রেখেছেন বাংলাদেশে। হাজারো সমর্থকের ভিড়ে, আর শত ক্যামেরার লেন্স খুঁজে নিয়েছে হামজার হাসিমাখা মুখখানি। রবিবার রাতে শেফিল্ড ইউনাইটেডের হয়ে ম্যাচ শেষ করে দেশের বিমান ধরেন হামজা। সোমবার দুপর ১১:৪০ নাগাদ সিলেট আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন এই ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার। ‘ওয়েলকাম টু মাদারল্যান্ড হামজা’—এমন সব স্লোগানে মুখর ছিলেন ফুটবলপ্রেমীরা। তাদের সেই অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে বাংলাদেশে পৌঁছেছেন ইংল্যান্ড প্রবাসী ফুটবলার হামজা চৌধুরী।
ঝিমিয়ে পড়া ফুটবলটা হামজার আগমণে আবারও জেগে উঠেছে। ইউরোপিয়ান ফুটবল নিয়ে মেতে থাকা সমর্থকরা আবারও দেশের ফুটবল নিয়ে আগ্রহ দেখাচ্ছে। দূর-দূরান্ত থেকে শত শত তরুণ-বুড়ো জড় হয়েছেন একটাবার হামজাকে দেখার জন্য। কাছ থেকে প্রিয় তারকাকে অভিবাধন জানানোর জন্য। একটা হাসিমাখা ছবি তুলে রাখার জন্য।

হামজার বাবা আগে আসলেও হামজার স্ত্রী- সন্তান ও মা তার সঙ্গে একই সাথে এসেছেন সিলিটে। বিমানবন্দর থেকে তারা সোজাসুজি চলে যাবেন স্নানঘাটে। হামজার আগমন ঘিরে নিজ গ্রাম স্নানঘাটসহ পুরো জেলায় বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ। সূত্র জানান,সাজসাজ রব পড়েছে হামজার নিজ গ্রামে। তাকে অভিনন্দন বার্তা জানিয়ে ব্যানার, ফেস্টুন ও তোরণে ছেয়ে গেছে পুরো এলাকা। নিজ এলাকার কৃতী সন্তানকে বরণ করতে প্রস্তুত গ্রামবাসী।
সব ঠিক থাকলে হামজা মঙ্গলবার রাতে ফিরবেন ঢাকায়। বুধবার অফিসিয়ালি সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে বলবেন কথা, আর সারবেন ফটোসেশন। একই দিন হয়তো দলের সঙ্গে করবেন অনুশীলন। আর ২০ তারিখ দলের সঙ্গে উড়াল দেবেন ভারতে।