
তবে কনমেবল বলছে, শতবর্ষপূর্তি বিশ্বকাপ আরও বড় পরিসরে আয়োজন করা উচিত।
কনমেবল সভাপতি আলেহান্দ্রো দমিনগেজ এই প্রস্তাব তুলে ধরে বলেন, ‘আমরা চাই বিশ্বজুড়ে সবাই যেন বিশ্বকাপের আনন্দ উপভোগ করতে পারে। এমন একটা আয়োজন হোক, যেখানে কেউ বাদ না পড়ে। কারণ শত বছর একবারই উদযাপন করা যায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘শত বছর একবারই আসে। আমরা বিশ্বাস করি, ২০৩০ বিশ্বকাপ হবে এক অনন্য উদযাপন।’
তবে ইতিহাসের প্রতি সম্মান জানিয়ে উরুগুয়ে, আর্জেন্টিনা ও প্যারাগুয়ের মাঠে উদ্বোধনী কয়েকটি ম্যাচ আয়োজন করা হবে। ১৯৩০ সালে প্রথম বিশ্বকাপ হয়েছিল উরুগুয়েতে, যেখানে চ্যাম্পিয়নও হয়েছিল তারা। তাই এবারও তারা একটি ম্যাচ আয়োজনের সুযোগ পাচ্ছে।
যদি ফিফা এই প্রস্তাব মেনে নেয়, তাহলে ২০৩০ বিশ্বকাপে ম্যাচের সংখ্যা দাঁড়াবে ১২৮টি। তুলনামূলকভাবে, ১৯৯৮ থেকে ২০২২ পর্যন্ত প্রতিটি বিশ্বকাপে ম্যাচ হয়েছিল ৬৪টি।
তবে সবাই কিন্তু এই প্রস্তাবকে ভালো চোখে দেখেননি। উয়েফা সভাপতি আলেকজান্ডার সেফেরিন এই প্রস্তাব নিয়ে বলেন, ‘প্রস্তাবটা শুনে আমি খুব অবাক হয়েছি। এটা আমার দৃষ্টিতে মোটেও ভালো আইডিয়া না।’
তবে কনমেবল বলছে, বিশ্বকাপকে সত্যিকারের বৈশ্বিক উৎসবে পরিণত করতেই তারা এমন প্রস্তাব দিয়েছে। এখন সিদ্ধান্ত ফিফার—তারা এই প্রস্তাব গ্রহণ করবে কি না, সেটাই দেখার বিষয়।



