fbpx
দেশবাংলা

মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ইউএনও’র ব্যক্তিক্রম আয়োজন

গাজীপুরের কালীগঞ্জে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানিত করতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শিবলী সাদিক ব্যতিক্রমধর্মী আয়োজন করেছেন। ইউএনও তার নিজ অফিস কক্ষে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য রেখেছেন তিনটি সংরক্ষিত আসন। অফিসের অন্যসব আসনের পাশাপাশি লাল রঙের তিনটি আসন। আর ওই আসন তিনটির পাশের দেয়ালে একটি সাদা বোর্ড সাঁটানো রয়েছে। আর তাতে লাল রঙে বড় বড় করে লেখা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংরক্ষিত আসন। ইউএনও’র ব্যাতিক্রমধর্মী সম্মাননায় খুশি ’৭১ এ রক্তক্ষয়ী স্বাধীনতা যুদ্ধে বিশ্ব মানচিত্রে লাল-সবুজের পতাকা অংকন করা বীর মুক্তিযোদ্ধারাও।

সরেজমিনে বুধবার সকালে বিষয়টি নিয়ে কথা হয় মুক্তিযোদ্ধা সরোয়ার হোসেনের সাথে। তিনি জানালেন যুদ্ধবিদ্বস্ত দেশে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু এদেশের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান করেছেন। দেশ স্বাধীনের পরবর্তীতে একমাত্র বঙ্গবন্ধু কন্যাই আমাদের সম্মানীত করেছেন। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলায় ইউএনও শিবলী সাদিকেদের মতো মানুষ এ দেশে সত্যি বিরল। তার মতো সরকারি কর্মকর্তারাই একদিন এ দেশটা বদলে দেবে। মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি উদার মানুসিকতায় একদিন সত্যিকারভাবেই গড়ে উঠবে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা। একই মতামত প্রকাশ করেন মুক্তিযোদ্ধা বাবুল মিয়া, আবুল হোসেন ও সিরাজ মিয়া।

নোয়াখালী চাটখীল উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা মরহুম আবুল হাশেমের সন্তান মো. শিবলী সাদিক। তিনি কালীগঞ্জ উপজেলায় চলতি বছরের ১২ ফেব্রুয়ারী যোগদান করেন। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) পড়ালেখা করা এই কর্মকর্তা এর আগে দুই বছর রাজধানী ঢাকার মোহাম্মদপুর রাজস্ব সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) হিসেবে কর্মরত ছিলেন। কালীগঞ্জে যোগদানের মাত্র তিন মাসের মধ্যেই নিজের জাত চিনিয়েছেন ৩১তম ব্যাচের বিসিএস এই কর্মকর্তা। অল্প সময়ে কালীগঞ্জের রাস্তা-ঘাটের যানজটের সমস্যা সমাধান, সরকারী ভূমিতে অবৈধভাবে দখলদারের উচ্ছেদ, জনসাধারণের জন্য স্বাস্থ্য ও পরিবেশের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ স্থানীয়ভাবে গড়ে উঠা এমন সব অবৈধ ব্যাটারী ও টায়ার কারখানা বন্ধ, ভেজাল বিরোধী অভিযান, বাল্যবিয়ের বিরুদ্ধে অভিযানসহ বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য কাজে তিনি তার মেধা ও যোগ্যতার স্বাক্ষর রেখেছেন।

মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ব্যতিক্রম আয়োজন এবং তাদের সম্মানিত করার বিষয়ে কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শিবলী সাদিক বলেন, আমি নিজেও একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। মুক্তিযোদ্ধারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। তাছাড়া নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ করার লক্ষ্যে ও মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি সম্মানের জন্য প্রতীকী আসন সংরক্ষণের এটি একটা উদ্যোগ। প্রত্যেক উপজেলায় এমনিভাবে একটি, দুইটি ও তিনটি আসন সংরক্ষিত রাখা হলে যেমন দেশের প্রতি দেশাত্মবোধ জাগবে তেমনি জাতির সূর্য্য সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি সম্মান বৃদ্ধি পাবে।

বাংলা টিভি/রফিক সরকার

কালীগঞ্জ (গাজীপুর) প্রতিনিধি

সংশ্লিষ্ট খবর

Back to top button