fbpx
স্লাইডার

হার্ট অ্যাটাকে সিপিআর প্রাথমিক রক্ষাকবচ

সম্প্রতি প্রাইম ব্যাংকের উত্তরার জসীমউদদীন রোড শাখা কার্যালয়ে কর্মরত অবস্থায় গহর জাহান নামের এক নারী ব্যাংকারের মৃত্যু নিয়ে জনমনে গুণজন এবং সোস্যাল মিডিয়ায় চলছে ব্যাপক আলোচনা। পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক জানায়, হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়েই তিনি মারা যান। গহর জাহানের পরিবার জানায়, তিনি ওপেন হার্ট সার্জারির রোগী ছিলেন।

এ ধরনের মৃত্যু বা হটাৎ হার্ট অ্যাটাক যে কারো, যেকোনো সময়ই হতে পারে। হৃৎস্পন্দন বন্ধ হলে বা কমে গেলে কিংবা শ্বাস-প্রশ্বাস সাময়িক কমে গেলে তাকে সিপিআর দিয়ে সহায়তা করা কার্ডিও-পালমোনারি রিসাসিটেশন বা সিপিআর জীবন রক্ষাকারী একটি কৌশল। হার্ট অ্যাটাক বা বিভিন্ন কারণে শ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্যা হলে জরুরি প্রাথমিক চিকিৎসা হিসেবে সিপিআর দেয়াটা বিশ্বজুড়ে প্রচলিত রক্ষাকবজ।

বিখ্যাত হৃদরোগ চিকিৎসক ড. দেবী শেঠি বলেছেন, হার্ট এটাকের রোগীকে সিপিআর না দিয়ে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া আর কফিন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া একই কথা। এখানেও তাই হয়েছে।

সিপিআর যে শুধু হার্টের রোগীদের দেয়া হয় বিষয়টি তা নয়। হার্ট অ্যাটাক, পানিতে পড়লে, ইলেকট্রিক শর্টে আহত হলে বা যে কোনো কারণে কোনো মানুষ যদি কলাপস করে তবে তাকে সিপিআর দেয়া যেতে পারে। এটাকে আমারা বলি প্রাথমিক চিকিৎসা। তবে হার্ট অ্যাটাক, পানিতে পড়লে ও ইলেকট্রিক শর্টে আহত রোগীদের জন্য সিপিআর জরুরি।

এ ধরনের রোগী যদি দ্বিতীয়বার হর্টি অ্যাটাক হয় তবে তাদের অন্য মানুষের চেয়ে ঝুঁকি বেশি। তবে গহর জাহানের মতো রোগীর ক্ষেত্রে সিপিআর দেয়া অত্যন্ত জরুরী। সঠিকভাবে সিপিআর দিতে পারলে হয়তো তিনি বেঁচে যেতে পারতেন।

অধ্যাপক ডা. এটিএম খলিল, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন।

সংশ্লিষ্ট খবর

Back to top button