fbpx
অন্যান্যবাংলাদেশ

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ঝুলে আছে আলোচনাতেই; কূটনৈতিক তৎপরতা চালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ

বাংলাদেশের আশ্রয়ক্যাম্প থেকে রোহিঙ্গা শরনার্থীদের নিজ দেশে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া এখনো থেমে আছে আলোচনা পর্যায়েই। বিশেষ করে, করোনা পরিস্থিতির কারণেও বিষয়টি নিয়ে আন্তর্জাতিক ফোকাস কমেছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাতে ভার্চুয়াল মাধ্যম ব্যবহার করে হলেও কূটনৈতিক তৎপরতা চালিয়ে যেতে হবে।

সেইসঙ্গে, করোনা সঙ্কটে রোহিঙ্গাদের জন্য দাতা সংস্থাগুলোর সাহায্য-সহযোগিতা যাতে কমে না যায়, সেদিকেও সতর্ক দৃষ্টি রাখার পরামর্শ দিয়েছে তারা।

রাখাইনে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর দমন নিপীড়নের মুখে ২০১৭ সালের ২৫ অগাস্ট থেকে ঘর-বাড়ি ছেড়ে বাংলাদেশে আসতে থাকে রোহিঙ্গারা; কয়েক মাসেই যার সংখ্যা ছাড়িয়ে যায় সাত লাখ। এর আগেও বাংলাদেশে অবস্থান করছিল আরও চার লাখ রোহিঙ্গা শরনার্থী।

এদিকে, রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে, আন্তর্জাতিক চাপের মুখে মিয়ানমার সরকার ২০১৭ সালের শেষদিকে বাংলাদেশের সঙ্গে চুক্তি করলেও, প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া আজও শুরু হয়নি। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের আলোচনা নতুন করে শুরু করতে, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ে বৈঠকের কথা ছিল।

কিন্তু মিয়ানমারের অনুরোধে তা দু’মাস পিছিয়ে মে মাসে করার সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু মহামারী করোনা সংকটের কারণে, বৈঠকটি আর হয়নি। এমন পরিস্থিতিতে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরুর আলোচনা, কার্যত থেমেই গেছে।

শরণার্থী ও অভিবাসী বিশেষজ্ঞ আসিফ মুনীর বলেন, রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো মিয়ানমারের বিরুদ্ধে কার্যকর কোন পদক্ষেপ নেয়নি। তাই রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশকে নতুনভাবে কূটনীতিক পরিকল্পনা করতে হবে।

আর রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া বিলম্বিত করার কারণ হিসেবে মিয়ানমারের সদিচ্ছার অভাবকেই দুষছেন, সাবেক পররাষ্ট্র সচিব শহিদুল হক। এই দুই বিশেষজ্ঞই মনে করেন, করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই সরকারকে আলোচনা ও কূটনৈতিক তৎপরতা চালিয়ে যেতে হবে।

এ বিষয়ে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন জানান, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের উদ্যোগগুলো, বেগবান করার চেষ্টা করছে সরকার।

আসাদ রিয়েল, বাংলা টিভি

সংশ্লিষ্ট খবর

Back to top button