বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদতবার্ষিকীতে তাঁর এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর শোক ও শ্রদ্ধা জানিয়েছেন, জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি বিষয়ক সংস্থা (ইউনেস্কো) এর মহাপরিচালক মিজ অদ্রি আজুলে।
তিনি বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর সাড়ে চার দশক পর আজও তাঁর দেশের জনগণের অধিকার ও মুক্তির প্রশ্নে বিশ্ব তাঁর অসামান্য অবদান, সংগ্রাম ও আত্মত্যাগ মানুষকে ছঁয়ে যায়। আমাদের সংস্থা অন্তর্ভূক্তিমূলক, ন্যায়সঙ্গত ও গণতান্ত্রিক সমাজের কথা বলে- যে আকাক্সক্ষা বঙ্গবন্ধু ব্যক্ত করেছিলেন ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চে তাঁর ঐতিহাসিক ভাষণে যা এখন ইউনেস্কো মেমোরি অব ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল রেজিস্টারে অন্তর্ভূক্ত।
এ বছর ইউনেস্কো সারা বিশ্বের সাথে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপন করছে। একটি ন্যায্যতর বিশ্বে সকল বৈচিত্রের নৃগোষ্ঠী, সংস্কৃতি, ভাষা ও ধর্মের জনগণের সম্মান প্রতিষ্ঠায় তাঁর স্বপ্ন পূরণে আমাদের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করার এটা এক অনন্য সুযোগ।
তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কল্যাণকর ভবিষ্যতের জন্য রাষ্ট্রসমূহের ঐক্যবদ্ধ শক্তিতে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করতেন। তাঁর এই বিশ্বাস তিনি ১৯৭৪ সালে জাতিসংঘে পুনর্ব্যক্ত করে বলেছিলেন, “জনগণের শক্তিতে অদম্য আত্মবিশ্বাস নিয়ে যেকোন অসাধ্য সাধন ও দুরূহ বাধা অতিক্রম করা সম্ভব।” বিদ্যমান সঙ্কট ও চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় তাঁর এই বিশ্বাসে অংশীদার হয়ে আমাদের কাজ করে যাওয়া প্রয়োজন।
কোভিড-১৯ মহামারী ও এর প্রভাব যখন সমাজের ভিত্তি এবং কয়েক দশকে ইউনেসকোর অর্জনসমূহ ক্ষতির সম্মুখীন হতে যাচ্ছে তখন আমাদের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে জাতীয়, আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক পর্যায়ে আমরা দ্বিগুন কর্মপ্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছি।
এটা নিশ্চিত বঙ্গবন্ধুর আদর্শ আগামী প্রজন্মের জন্য বিপুল উৎসাহ যোগাবে এবং বিশ্বকে নতুনভাবে সাজানোর কাজে সহায়তা করবে।