দুর্বৃত্তের হামলায় গুরুতর জখম ঘোড়াঘাটের ইউএনও

দিনাজপুরে সরকারী বাসভবনে ঢুকে ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা ওমর আলীকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করেছে দুর্বৃত্তরা। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়েছে।
বুধবার রাতে ইউএনও’র সরকারি বাসভবনে ঢুকে তাদের হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে আহত করে দুষ্কৃতিকারীরা। গুরুতর অবস্থায় তাদের প্রথমে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তাকে রংপুর কমিউনিটি হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।
ইউএনও’র বাবাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার মাথার বাম পাশে বড় ধরনের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। বাম হাত ও পা কোনো রকম সাড়া দিচ্ছে না। হাসপাতালের চিকিৎসকের বরাত দিয়ে ঘোড়াঘাট থানার ওসি এ তথ্য জানিয়েছেন। ওয়াহিদা খানমের স্বামী মেজবাহুল হোসেন রংপুরের পীরগঞ্জে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত।
জানা গেছে, ইউএনওর সরকারি বাসভবনের ভেন্টিলেটর কেটে দুর্বৃত্তরা তাঁর শয়নকক্ষে ঢুকে। এর আগে দুর্বৃত্তরা ওই বাসভবনের নিরাপত্তা প্রহরীকে বেঁধে প্রহরী কক্ষে তালা দিয়ে আটকে রাখে। ইউএনওর বাবা ওমর আলী (৬০) প্রতিদিন সকালে হাঁটতে বের হন।
কিন্তু বৃহস্পতিবার সকালে তিনি হাঁটতে বের না হওয়ায় সঙ্গীরা তাঁর খোঁজ নেওয়ার জন্য বাসভবনে যান। অনেক ডাকাডাকি করেও কোনো সাড়া না পেয়ে তাঁরা পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ গিয়ে ইউএনও, তাঁর বাবা ও প্রহরীকে উদ্ধার করে।
ইউএনও ও তাঁর বাবাকে গুরুতর আহত অবস্থায় বৃহস্পতিবার ভোরে প্রথমে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে ইউএনও ওয়াহিদা খানমকে রংপুর কমিউনিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) নেওয়া হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে ঢাকায় পাঠানো হয়।
ঢাকায় তাঁকে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরো সায়েন্স অ্যান্ড হসপিটালে ভর্তি করা হবে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।
ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আমিরুল ইসলাম বলেন, ইউএনওর বাসাটি সিসি ক্যামেরার আওতাধীন। ফুটেজ সংগ্রহ করে দোষী ব্যক্তিদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে।