নোয়াখালীতে পরকিয়ার বলি গৃহবধু পান্না
পরকিয়ায় খুন হয়েছেন গৃহবধু পান্না, সন্দেহ ভাজন আসামী হয়ে স্বামী আমির হোসেন রয়েছেন জেলে। ফলে,অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে তিন অবুঝ শিশু সন্তানের ভবিষ্যৎ।এমন মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরপার্বতী ইউনিয়নে। গৃহবধুর স্বজন ও এলাকাবাসীর দাবী, প্রেমিক বাবুল ও তার সহযোগীরাই হত্যা করেছে পান্নাকে। আর পুলিশ বলছে, প্রকৃত খুনিদের সনাক্তের চেষ্টা চলছে।
গত ২৬ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় মোবাইলে ডেকে নিয়ে গৃহবধু পান্নাকে কুঁপিয়ে হত্যা করে লাশ পুকুরে ফেলে দেয়া হয়। খবর পেয়ে লাশ উদ্ধারের পাশাপাশি স্বামী স্বামী আমিরকে সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেফতার করে পুলিশ।
স্বজন ও এলাকাবাসীর দাবী প্রকৃত খুনি বাবুলকে গ্রেফতার না করে নিরপরাধ স্বামীকে গ্রেফতার করে আর্থিক ও মানসিক হয়রানি করছে।এদিকে মা খুন হওয়ার পর বাবা গ্রেফতার হয়ে জেলে থাকায় তাদের তিন অবুঝ সন্তানের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। আমিরের মুক্তি এবং প্রকৃত আসামীদের গ্রেফতারের দাবী স্বজন ও এলাকাবাসীর।
হত্যাকান্ডে জড়িত অভিযোগ করে বাবুলকে গ্রেফতার ও নিরপরাধ আমিরের মুক্তি চেয়েছেন গৃহবধু পান্নার পিতা ও মামলার দাবী জাফর উল্যাহ।
হত্যাকান্ডে জড়িত প্রকৃত দোষীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানান স্থানীয় জনপ্রতিনিধি।
গৃহবধু পান্না হত্যাকান্ডের রহস্য উৎঘাটন ও পৃকত খুনিদের গ্রেফতারে পুলিশ কাজ করছে বলে জানান, কোম্পাগঞ্জ থানার ওসি। আরিফুল ইসলাম
গৃহবধু পান্না হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত প্রকৃত খুনিদের শাস্তি, নিরপরাধ স্বামী আমিরের মুক্তির মাধ্যমে, অবুঝ তিন সন্তান ফিরে পাবে তাদের নিশ্চিত ভবিষ্যৎ, এমন প্রত্যাশা স্বজন ও এলাকাবাসীর।
বাংলাটিভি/দেশবাংলা