যাবজ্জীবন কারাদণ্ড অর্থ আমৃত্যু কারাবাস নাকি ৩০ বছর, তা নির্ধারণের জন্য করা রিভিউ আবেদনের ওপর আপিল বিভাগে শুনানি শেষ, ১লা ডিসেম্বর রায় দিবেন আপিল বিভাগ। মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে ছয় বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এই দিন ঠিক করেন।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ড কত বছর, সে বিষয়ে পুনর্বিবেচনায় এই আবেদন করেন কারাবন্দি মানিকগঞ্জের আতাউর রহমান। বাংলাদেশের আইনে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হিসেবে ৩০ বছর বলা আছে, যা রেয়াত পাওয়ার পর সাড়ে ২২ বছর হয়।
২০০৩ সালে ঢাকার একটি আদালত আতাউরের পাশাপাশি কামরুল ও আনোয়ার নামের আরও দুজনকে মৃত্যুদণ্ড দেয়। এ সাজার বিরুদ্ধে আতাউর ও আনোয়ার হাইকোর্টে আপিল করেন। হাইকোর্ট ২০০৭ সালে তিন আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে রায় দেন।
এর বিরুদ্ধেও আতাউরসহ আসামিরা আবারও আপিল করেন। শুনানি শেষে সাবেক প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ ২০১৭ সালের ১৪ই ফেব্রুয়ারি আসামিদের দণ্ড কমিয়ে যাবজ্জীবন সাজা দেন। পরে ওই বছরের ৬ই নভেম্বর রায়টি সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়।
সে রায়ে বলা হয়, দণ্ডবিধির ৫৩ ধারা ও ৪৫ ধারায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হবে আমৃত্যু কারাবাস। এর ফলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত সবাইকে আমৃত্যু কারাগারে থাকতে হবে। যাবজ্জীবন কারাদণ্ড কত বছর, সে বিষয়ে পুনর্বিবেচনা করতেই এই আবেদন করা হয়।