
তামাকজাত দ্রব্য সেবনের কারণে, সারাবিশ্বে বছরে ৮০ লাখ মানুষ মারা যায়, এর মধ্যে বাংলাদেশেই ১ লক্ষ ২৬ হাজার। এ বিষয়ে গবেষণা প্রতিবেদন নিয়ে ভার্চুয়াল আলোচনায় বক্তারা বলেন, তামাকের ভয়াবহতা থেকে বাঁচতে কঠোর আইন প্রয়োগের পাশাপাশি, সরকারের মন্ত্রণালয়গুলোর মাঝে সমন্বয় জরুরি।
এছাড়া তামাক ব্যবহারকারিরা করোনায়ভাইরাসে সংক্রমিত হলে বেশিমাত্রায় স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়বেন বলেও জানান তারা।
অনিয়ন্ত্রিত ধূমপানের ফলে বিশ্বে তামাকের চাষ, সিগারেট উৎপাদন মাত্রা ছাড়িয়েছে। বাংলাদেশেও তরুণ জনগোষ্ঠীর বেশিরভাগ ধুমপান করেন। তামাকের আসক্তির কারণে প্রতিবছর বাড়ছে ফুসফুসে ক্ষতজনিত রোগের প্রবণতা। তামাকজাত পন্য ব্যবহার নিরুৎসাহিত করা হলেও, উৎপাদনকারি কোম্পানীগুলো বন্ধে শক্ত কোন পদক্ষেপ দেখা যায় না।
থাইল্যান্ডভিত্তিক একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের তথ্যমতে, সারাবিশে প্রতিবছর তামাকের কারণে মৃত্যু হয় ৮০ লাখ মানুষে। এই হিসেবের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশে ১ লাখ ২৬ হাজার। এ বিষয়ে শনিবার ভার্চুয়াল আলোচনায় আয়োজন করে তামাকবিরোধী সংগঠন প্রজ্ঞা।
আলোচনায় যোগ দিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বাংলাদেশ প্রতিনিধি ড. মাহফুজুল হক জানান, তামাক নিয়ন্ত্রণে দায়িত্বশীলদের এগিয়ে আসতে হবে। আর তামাক নিয়ন্ত্রণে শিল্প মন্ত্রণালয়ের সমালোচনা করে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী ‘তামাকের ব্যবহার বন্ধে মন্ত্রণালয়গুলোকে সমন্বিতভাবে কাজ করার তাগিদ’ দেন তিনি।
জনস্বাস্থ্যের জন্য যা ক্ষতিকর তা বন্ধে সরকারকে কঠোর হওয়ার কথা জানান, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। এছাড়া তামাক নিসিদ্ধসহ বেশকিছু সুপারিশও করা হয় আলোচনায়।
বুলবুল আহমেদ, বাংলা টিভি