
পদ্মাসেতু চালু হলে বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়নে, নতুন এক জাগরণ সৃষ্টি হবে মনে করেন অর্থনীতিবিদরা। ভৌগলিক বাঁধা পেরিয়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা পৌঁছাবে অন্যন্য উচ্চতায়। পরিবহন খাতে গতির কারণে তরান্বিত হবে বাণিজ্যিক বিকাশ, বাড়বে দেশের জিডিপি।
রাজধানীর সাথে দক্ষিণাঞ্চলের যোগাযোগ তরান্বিত করতে সবার আগে যেটি জরুরি ছিলো, তা হলো প্রমত্তা পদ্মাকে জয় করা। আওয়ামী লীগ সরকার ২০০১ সালে, পদ্মাসেতু নির্মাণের দুঃসাহসিক সেই স্বপ্নের বীজ বপন করে।
এরপর রাজনৈতিক পট পরিবর্তনে, মেগাপ্রকল্পটি বিঘ্নিত করতে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়ন বন্ধেও আসে নানা প্রতিঘাত। পরবর্তীতে শেখ হাসিনার সরকার আবারো ক্ষমতায় এলে, কোটি প্রাণের স্বপ্নের পদ্মাসেতু দেশের নিজস্ব অর্থায়নেই নির্মাণের সংকল্প বাঁধেন। প্রায় দুই দশক আগে বোনা সেই স্বপ্নবীজ, নদীর বুকে এখন পেয়েছে পূর্ণকাঠামো।
পদ্মাসেতুর দু’পাশের সংযোগ সড়ক ও গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে যাতে যানজট না হয়, সেজন্য পরিকল্পিত নান্দনিক ইন্টারচেঞ্জ নজর কারতে বাধ্য সবারই। প্রায় ৩৫ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত পদ্মাসেতু চালু হলে, তা হবে দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার গুরুত্বপূর্ণ লাইফলাইন।
যার ফলে উন্নয়নে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদরা। সেতুর ব্যবহার বেড়ে, দক্ষিণ জনপদে গড়ে উঠবে নতুন শিল্পকারখানা। দেশজ উৎপাদন প্রবৃদ্ধি জিডিপি বাড়বে ১ থেকে দেড় শতাংশ। একইসাথে সড়ক এবং রেলওয়ে নেটওয়ার্ক- পরিবহন খাতকে নেবে অন্যন্য উচ্চতায়।
এছাড়া আগামীতে, পায়রা বন্দর হয়ে আমদানি-রপ্তানিতে আন্তর্জাতিক রুট ব্যবহারে পদ্মা সেতুর গুরুত্ব হবে বহুমাত্রিক।সেইসঙ্গে পদ্মাসেতুর নিকট এলাকার মানুষ যাতে কর্মসংস্থানের সুযোগ বঞ্চিত না হয়, সেজন্য তাদেরকেও উপযোগি করে গড়ে তোলার পরামর্শ দিয়েছেন অর্থনীতিবিদরা।
শুধুমাত্র পরিবহনই নয়, পদ্মাসেতু এলাকা ঘিরে পর্যটন, বিনোদনসহ বহুমুখী পরিকল্পনা নেয়া গেলেও তা দীর্ঘমেয়াদী সুফলে ভূমিকা রাখবে।
বুলবুল আহমেদ, বাংলা টিভি