নদী থেকে বালু উত্তোলনের ছবি তোলায় সাংবাদিকদের লাঞ্চিত

ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে টাঙ্গন নদী থেকে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করা হলেও প্রশাসন কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায়। এ নিয়ে এলাকায় জনমনে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
এসব নদীর ঘাটে অভিযান পরিচালনা না করায় পীরগঞ্জ উপজেলার সব বালু ঘাটের বালুখোররা এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে কোন ইজারা ছাড়াই সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে প্রথম শ্রেণীর কিছু অসাধু সরকারি কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে কিছু হলুদ সাংবাদিককে খুশি করে দেদারসে বালু উত্তোলন করছেন।
জানা যায়, প্রতিদিন বালু খোরদের সাথে তাদের একটি মোটা অংকের রফাদফা হয় বলে জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কিছু বালু ব্যবসায়ী। তাই তাদের বিরুদ্ধে কিছুই করেন না তারা।
সেই বালু উত্তোলন কালে সাংবাদিকরা ছবি তুলতে গেলে সাংবাদিকদের লাঞ্ছিত করতেও পিছু হাটেননি বালু খোররা। সে সময় লাঠি দিয়ে সাংবাদিকদের মারধর করেন হবি নামে এক বালুখোর চক্রের সদস্য সেই ভিডিও ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকালে ৮ নং দৌলতপুর ইউনিয়নের টাঙ্গন নদীর কদমতলীর ঘাটে এ ঘটনা ঘটে। পরে স্থানীয় সাংবাদিকরা পীরগঞ্জ থানায় মুঠোফোনে জানালে পুলিশ ঘটনা স্থলে গিয়ে ২টি বালুর গাড়িসহ আহত সাংবাদিকদের উদ্ধার করে।
গত কয়েকদিন আগে এই নদীর ঘাট থেকে ৭টি গাড়ি আটক করে জরিমানা করেছিলেন প্রশাসন।
পীরগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি তরিকুল ইসলাম ঘটনা স্থলে গিয়ে বালু খোরদের পক্ষে সাফাই গাওয়ার অভিযোগও করেন সাংবাদিকরা। সেই সাথে তাকে বারবার মুঠোফোনে কল দিলেও তার ফোন রিসিভ না করাই গুঞ্জন চলছে সাংবাদিকসহ সেই এলাকার মানুষের মাঝে। সেই সাথে বালুখোর হবির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে সাংবাদিকদের উপর চড়াও হন তিনি।
এ ব্যাপারে পীরগঞ্জ সহকারী কমিশনার ভূমি তরিকুল ইসলাম বলেন, কোন জায়গায় তারা বালু উত্তোলন করেছিল সেটা দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ বিষয়ে পীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার রেজাউল করিম জানান, ডিসি স্যার বলেছেন জরিমানা নয় নদী থেকে বালু উত্তোলন করলে গ্রেফতার করে জেল দেওয়া হবে। সেই সাথে আনসার ভিডিপি, গ্রাম পুলিশসহ আইন শৃংখলা বাহিনী রাতেও অভিযানে থাকবে।
বালু উক্তোলনের বিষয়ে জেলা প্রশাসক ড. কে. এম. কামরুজ্জামান সেলিম বলেন, বালু উত্তোলন করা অপরাধ যারা অবৈধ ভাবে বালু তুলছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মামুনুর রশিদ, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি