
অভ্যন্তরীণ রুটে যাত্রী বাড়ায় করোনার ধাক্কা সামলে কিছুটা ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে দেশের বেসরকারি এয়ারলাইন্সগুলো। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, যাত্রী সংখ্যা বিবেচনায় করোনার আগের অবস্থানের কাছাকাছি পৌঁছে গেছে অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট অপারেশন।
কিন্তু এখনও বিধিনিষেধ থাকায়, আন্তর্জাতিক রুটে করোনার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে আরও সময় লাগবে। এ অবস্থায়, বেসরকারি এয়ালাইন্সগুলো টিকিয়ে রাখতে ফুয়েল খরচসহ এ্যারোনটিক্যাল ও নন-এ্যারোনটোক্যাল চার্জ সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আসা প্রয়োজন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
যাত্রা শুরুর পর থেকেই নানা ধরনের প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়ে দেশের বেসরকারি খাতের এয়ারলাইনস ব্যবসা। প্রতিনিয়ত বিদেশি এয়ারলাইনসগুলোর সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে হচ্ছে তাদের। আন্তর্জাতিক এয়ারলাইনসগুলো এভিয়েশন বাজারের প্রায় পুরোটাই দখল করে নিয়েছে।
এ ছাড়াও, মহামারী করোনার ধাক্কা বাংলাদেশসহ গোটা বিশ্বের এভিয়েশন শিল্পকে চরম বিপর্যয়ে ফেলে দিয়েছে। টানা ২ মাস বন্ধ থাকার পর গেল পয়লা জুন থেকে দেশের অভ্যন্তরে বিমান চলাচল শুরু হয়। ধীরে ধীরে এর যাত্রী সংখ্যাও বাড়তে থাকে।
দেশের অন্যতম শীর্ষ বেসরকারি বিমান পরিবহন সংস্থা ইউ-এস বাংলা এয়ারলাইন্স এর জনসংযোগ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক কামরুল ইসলাম জানান, গেল কয়েক বছরে দেশের অভ্যন্তরীণ রুটে যাত্রী সংখ্যা অনেক বেড়েছে। করোনা না থাকলে এ হার আগের অবস্থাকে ছাড়িয়ে যেত।
প্রতিষ্ঠানটির সিইও মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ জানান, অভ্যন্তরীণ খাতে প্রায় কোভিড পূর্ববর্তী সময়ে পৌঁছে গেছে দেশের এয়ারলাইন্সগুলো, যা খুবই ইতিবাচক। তবে, আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে, বাংলাদেশ বিমানের সঙ্গে বেসরকারি এয়ারলাইন্সের লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করতে হবে বলেও মত দেন তিনি।
এভিয়েশন বিশেষজ্ঞ কাজী ওয়াহিদুল আলম মনে করেন, অভ্যন্তরীণ খাতে যাত্রী বাড়লেও মুনাফার জন্য আরও অনেক সময় পাড়ি দিতে হবে। সেজন্য, দেশীয় এয়ারলাইন্সগুলোর মধ্যে সংযোগ বাড়ানোর তাগিদ দেন তিনি। দেশের উন্নয়নের স্বার্থে বেসরকারি এয়ারলাইন্সগুলোর জন্য সরকারি সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো প্রয়োজন বলেও মত দেন, এই বিশেষজ্ঞ।
আসাদ রিয়েল, বাংলা টিভি