
ভারতের পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের খবরে দেশের পাইকারি বাজারে দরপতন ঘটেছে। বেশি দামে কেনা বিপুল পরিমাণ পেঁয়াজ বর্তমানে ব্যবসায়ীদের কাছে মজুত রয়েছে। এই মুহূর্তে ভারতীয় পেঁয়াজ বাজারে আসলে বাড়তি দামে কেনা পেঁয়াজ নিয়ে লোকসানে পড়তে হবে ব্যবসায়ীদের।
ভারতের বৈদেশিক বাণিজ্য আইনের বিষয়ে সরকারকে সর্তক থাকার পরামর্শ দিয়েছেনে অর্থনীতি বিদ মো.মিজানুর রহমান।
অভ্যন্তরীণ বাজারে পেঁয়াজের সংকট ও মূল্যবৃদ্ধির অজুহাত দেখিয়ে গেলো ১৪ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধের ঘোষণা দেয় ভারত।সাড়ে ৩ মাস বন্ধ থাকার পর ২৮ডিসেম্বর পেঁয়াজ রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে দেশটির সরকার।
নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পর বাংলাদেশে পেঁয়াজ আমদানি শুরু করে বড় বড় পাইকাররা। এতে করে দু-তিন দিনের ব্যবধানে বাজারে দেশি পেঁয়াজের দাম কেজিতে কমে ১০থেকে ১৫টাকা।
এছাড়া বাজারে পর্যাপ্ত যোগান থাকায় কমতে শুরু করেছে দেশী পেঁয়াজের দাম। যে পেঁয়াজ ২দিন আগে খুচরা ৪৫-৫০টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে তা নেমে এসেছে ৩০থেকে ৩৫টাকায়।আর পাইকারি বাজারে বিক্রি হচ্ছে ২৪থেকে ২৮টাকা।বিদেশী পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৫ -২২টাকা দরে।
এদিকে, ভারতীয় র্পেঁয়াজ আমদানির ফলে লোকসানে পড়েছেন ব্যবসায়ী ও কৃষকরা। কৃষকরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলে আগামীতে তারা পেঁয়াজ উৎপাদনে আগ্রহ হারাবেন জানিয়ে কৃষক ও ভোক্তার স্বার্থ রক্ষায় সরকারকে পদক্ষেপ নেয়ার পরামর্শ অর্থনীতিবিদ মো.মিজানুর রহমানের।
প্রতিবেশী দেশ ভারতের আকষ্মিক সিদ্ধান্তের বিষয়ে সরকার আগেভাগে সতর্ক না হলে ভবিষ্যতে অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে জানান এই অর্থনীতিবিদ। দেশের চাহিদার কথা মাথায় রেখে প্রয়োজন অনুযায়ী পেঁয়াজ আমদানির কথাও জানান এই বিশেষজ্ঞ।
হাকিম মোড়ল, বাংলা টিভি