১০ জানুয়ারি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। পাকিস্তানের বন্দীদশা থেকে মুক্তি পেয়ে ১৯৭২ সালের এ দিনে বেলা ১টা ৪১ মিনিটে জাতির অবিসংবাদিত নেতা ও মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের মাটিতে প্রত্যাবর্তন করেন। বঙ্গবন্ধু স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মধ্যদিয়ে জাতি বিজয়ের পূর্ণ স্বাদ গ্রহণ করেন জানান বিশিষ্টজনেরা।
১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর মুক্তিবাহিনীর কাছে পরাজয়ের পরের বছর তুমুল আন্দোলনের মুখে ৭ জানুয়ারি ভোর রাতে জাতির জনককে মুক্তি দিতে বাধ্য হয় পাকিস্তান সরকার। মুক্তি পেয়ে প্রথমে যুক্তরাজ্যে যান বঙ্গবন্ধু।
কথা বলেন, ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী এডওয়ার্ড হিথ,তাজউদ্দিন আহমদ ও ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীসহ অনেকের সঙ্গে। পরে ব্রিটেনের বিমান বাহিনীর একটি বিমানে করে পর দিন ৯ জানুয়ারি দেশের পথে যাত্রা করেন তিনি।
১০ তারিখ সকালেই তিনি নামেন দিল্লিতে। সেখানে ভারতের সরকার এবং দেশটির জনগণের পক্ষ থেকে তাকে উষ্ণ সংবর্ধনা দেয়া হয়। বেলা ১টা ৪১ মিনিটে সদ্যস্বাধীন মাতৃভুমি বাংলাদেশে পা রাখেন জাতির অবিসংবাদিত নেতা শেখ মুজিবুর রহমান। পূর্ণতা পায় দেশের স্বাধীনতা।
জীবনের মায়া তুচ্ছ করে, সারাক্ষণ দেশ ও জাতিকে নিয়ে ভাবতেন বঙ্গবন্ধু এমনটাই জানালেন, বর্ষীয়ান আওয়ামী লীগ নেতা তোফায়েল আহমেদ। জাতির পিতা বাংলাদেশকে নিয়ে স্বপ্ন দেখতেন তার অনেক কিছুরই বাস্তবায়ন হয়েছে বলে মনে করেন ইতিহাসবিদ সৈয়দ আনোয়ার হোসেন। তবে কা্ঙ্খিত লক্ষ্যে পৌছতে আরো অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে বলেও জানান তিনি।
দেশের উন্নয়নের পথে মৌলবাদ বাধা সৃষ্টি করতে পারে তাই সেদিকে সতর্ক থাকারও পরামর্শ দেন দেশবরেণ্য এই ইতিহাসবিদ।
বুলবুল আহমেদ, বাংলা টিভি