ধর্ষণের পর সন্তান প্রসব, বাবার স্বীকৃতি চেয়ে মামলা

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে এক প্রবাসীর মাদ্রাসা পড়ুয়া মেয়েকে ধর্ষণের পর, সেই ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে, প্রায় এক বছর যাবত ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে, স্থানীয় সাইমুন ইসলামের বিরুদ্ধে। এরই মধ্যে ধর্ষিতা মেয়েটি সন্তান প্রসব করলে, নবজাতকের বাবার স্বীকৃতি চেয়ে, কুমিল্লা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে মামলা করেছে, ওই ছাত্রীর পরিবার।
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার ২নম্বর উজিরপুর ইউনিয়নের চক লক্ষীপুর এলাকার কৈয়া গ্রামের বাহরাইন প্রবাসীর মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় নবজাতকের বাবার স্বীকৃতি চেয়ে চক লক্ষীপুর এলাকার কৈয়া গ্রামের আবুল খায়ের এর ছেলে সাইমুন ইসলাম ও অপর একজনকে আসামী করে, কুমিল্লা নারী ও শিশু নিরযাতন দমন আদালতে ওই ছাত্রীর পরিবার মামলা করলে, অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এদিকে, ধর্ষিতা মেয়েটির চাচা সদ্য প্রবাস ফেরত দুলালকে প্রধান আসামী করে, চারজনের বিরুদ্ধে, ধর্ষণে অভিযুক্তের পরিবার চৌদ্দগ্রাম থানায় মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানীর চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানায়, নিরযাতিতা মেয়েটির প্রবাস ফেরত চাচা।
মামলা সূত্রে জানা যায়, চৌদ্দগ্রাম উপজেলার চক লক্ষীপুর এলাকার কৈয়া গ্রামের আবুল খায়ের এর ছেলে সাইমুন ইসলাম একই এলাকার রেহেনা বেগমের মেয়ের সাথে ছুফুয়া মাদ্রাসায় পড়াকালীন একসাথে যাতায়াত করত। পরে উচ্চ মাধ্যমিকে পড়ার সময়, গত বছরের মার্চ মাস থেকে ঐ ছাত্রীকে ধর্ষন করে। ধর্ষনের ভিডিও ধারন করায়, কোন প্রতিবাদ করতে পারেনি।
এদিকে, ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী বিচার চেয়ে এলাকার বিভিন্নস্থানে মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করেন।
ধর্ষণ একটি সামাজিক ব্যধি। এ সমস্যার উত্তরণে সামাজিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধ মেনে চলার পাশাপাশি, অভিভাবকদের আরও সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন, বিশিষ্ট আইনজীবী নঈমূল হক মজুমদার (এ্যাডভোকেট, র্জজকোর্ট,ঢাকা)।
আরিফুর রহমান, কুমিল্লা প্রতিনিধি