
পরিবহনখাতে ফেরাতে মাদকাসক্ত চালক ও শ্রমিকদের ডোপ টেস্ট কার্যকরের সিদ্ধান্ত নেয়া হলেও এখনো তার বাস্তবায়ন সম্ভব হয়নি। এ সংক্রান্ত নীতিমালা মন্ত্রনালয়ের অনুমোদনের অপেক্ষায় জানিয়ে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হলে তা দ্রুত বাস্তবায়ন করা হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ কর্তৃপক্ষ। আর ডোপ টেস্ট প্রক্রিয়া কার্যকর হলে সড়কে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে সড়ক দুর্ঘটনার অন্যমত কারণ চালক শ্রমিকের মাদকাসক্তি। এক্ষেত্রে পরিবহণ চালক-শ্রমিকদের যুক্তি অবশ্য ভিন্ন। তাদের দাবি দীর্ঘ সময় গাড়ি চালাতে অনেকেই মাদকের আশ্রয় নেয়।
বুয়েটের অ্যাক্সিডেন্ট রিসার্চ ইন্সটিউটিউট (এআরআই)’র তথ্যমতে প্রতিবছর সারাদেশে যত সংখ্যক সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে তার ১০ শতাংশই নেশাগ্রস্থ চালক শ্রমিকের অসতর্কতার কারণে। সড়কে দুর্ঘটনা রোধে এবং সুশৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে ডোপ টেস্টের কথা বলা হলেও এখন পর্যন্ত এর দৃশ্যমান প্রতিফলন ঘটেনি বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
এ বিষয়ে বিআরটিএ’র সাথে আলোচনা হয়েছে এবং এ সংক্রান্ত একটি কমিটি গঠন করার কথা জানায় বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ মালিক সমিতি। আর ডোপটেস্ট বাস্তবায়নে চূড়ান্ত নীতিমালা’র কাজ চলছে বলে জানিয়েছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর।
এদিকে, ডোপটেস্ট সংক্রান্ত নীতিমালা মন্ত্রনালয়ের অনুমোদন পেলে তা দ্রুত বাস্তবায়ন করা হবে বলে জানান, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ কর্তৃপক্ষের পরিচালক মোঃ মাহবুব-ই-রাব্বানী।
সুনির্দিষ্ট নীতিমালা বাস্তবায়নের মাধ্যমে মাদকাসক্ত চালক ও শ্রমিকদের কাছ থেকে পরিবহনখাতকে মুক্ত করতে পারলে সড়ক দূর্ঘটনা অনেকাংশেই কমবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
আরমান কায়সার, বাংলা টিভি