
বিশেষ পরিস্থিতিতে পরীক্ষা ছাড়াই এসএসসি, এইচএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশে তিনটি আইনের সংশোধনী বিল জাতীয় সংসদে পাস হয়েছে। স্পীকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে আজ (রোববার) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে বিলগুলো কণ্ঠভোটে পাস হয়।
এসময় শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি জানান শিগগিরই গেজেট প্রকাশ করে এইচএসসি ও সমমানের ফলাফল ঘোষণা করা হবে। এছাড়া আগামীতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুললে, দশম-দ্বাদশে নিয়মিত ক্লাস নেয়া হবে, বাকিদের সপ্তাহে একদিন।
১১টি শিক্ষাবোর্ডের ১৩ লাখ ৬৫ হাজার ৭৮৯ শিক্ষার্থীর ২০২০ সালে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনাভাইরাসের প্রকোপ বাড়তে শুরু করলে ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে পরীক্ষা ছাড়াই জেএসসি এবং এসএসসির ফলাফলের মূল্যায়নের ভিত্তিতে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের ফল প্রকাশের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।
কিন্তু পরীক্ষা ছাড়া ফল প্রকাশে আইনগত জটিলতা থাকায়, সংশোধনী প্রস্তাব মন্ত্রিসভার অনুমোদনের পর তোলা হয় সংসদে। শিক্ষামন্ত্রী ডা. দিপু মনি ‘ইন্টারমিডিয়েট অ্যান্ড সেকেন্ডারি এডুকেশন অ্যামেন্ডমেন্ট বিল-২০২১’ বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড সংশোধন বিল-২০২১ ও বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড সংশোধন বিল-২০২১ উত্থাপন করেন। রোববার এ সংক্রান্ত বিল পাস হওয়ার মধ্য দিয়ে, এইচএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশে আর কোন বাধা থাকলো না।
এসময় শিক্ষামন্ত্রী জানান, এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল প্রস্তুত রয়েছে। আইন সংশোধনের গেজেটের পর দ্রুতই ফল প্রকাশ করা হবে। শিক্ষামন্ত্রী আরও জানান, ৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খোলার প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামীতে ক্লাস খোলার ক্ষেত্রে, শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য নিরাপত্তাকে সর্বাধিক প্রাধান্য দেয়া হবে।
দীপু মনি আরো বলেন, সরকার নিয়মিত করোনার পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করছে। জাতীয় পরামর্শক কমিটির সঙ্গে আলোচনা করেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
আসাদ রিয়েল, বাংলা টিভি