
৯ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের ইতিহাসে অন্যতম সেরা দিন। ক্যালেন্ডারের পাতায়, ঠিক ৩৬৫ দিন আগের এই দিনে যুব বিশ্বকাপ জয়ের আনন্দে মেতেছিলো পুরোদেশ। ২০২০ সালে এই দিনে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপে জয় করেছিলো লাল-সবুজরা। কেমন ছিলো সেদিনের দক্ষিণ আফ্রিকার পচেফস্ট্রুমের সেনওয়েস পার্কের সময়টা।
প্রথমবারের মতো যুববিশ্বকাপের ফাইনালে বাংলাদেশ। প্রতিপক্ষ চারবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ভারত। বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে, টাইগারদের জয়ের লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৭৭ রান। ১০২ রানে ৬ উইকেট পড়ে যাওয়ায়, একটা সময় মনে হয়েছিলো হয়তো তীড়ে এসে তড়ী ডুবে যাবে আরেকটি স্বপ্নের।
কিন্তু টাইগার যুবাদের অদম্য মনোবল আর প্রতিজ্ঞাবদ্ধ দেশপ্রেম, প্রথমবারের মতো জয় করে বিশ্বকাপের ট্রফি। উনিশের হাত ধরে, বিশে বিশ্ব জয় করে আকবর দ্যা গ্রেট বাহিনী।
১৯৯৭ সালে মালয়েশিয়ায় যে রূপকথার শুরু হয়েছিলো, ১৯৯৯ বিশ্বকাপ অর্জনের খাতায় তা অনেকটা পূর্ণ হয়। নর্দাম্পটনে পাকিস্তান বধ, সেদিন জানান দিয়েছিলো, ক্রিকেট দুনিয়া মাতাতে আসছে টাইগারদের নতুন জাতি। ২০০৫ এরপর ২০০৭ এবং ২০১৫ বিশ্বকাপ, এমনি ২০১৬ এশিয়া কাপ, সে ধারাকে নিয়ে গিয়েছিলো আরো এক ধাপ ওপরে।
কিন্তু কোথায় যেন আটকে ছিলো পূর্ণতা। বার বার হোঁচট খেলেও, একবারো মনোবল হারায় নি স্বপ্নবাজ বাঙ্গালিরা। ভালো খেলছে-এতকমা গায়ে লাগলেও, কিছুতেই পরীক্ষায় ফার্স্ট হতে পারছিলো ছেলেরা। সাকিব-তামিম-মুশফিকদের পর যে জ্বালায় পুড়েছেন বিজয়-সৌম্য, মিরাজরাও।
সেই অপূর্ণাতা কাটিয়ে বিশ্ব ক্রিকেটের আকাশে দেখা দিলো একঝাঁক নক্ষত্র। পচেফস্ট্রুমের সেই সেনওয়েস পার্কে, দক্ষিণ আফ্রিকার আকাশের মন ভালো ছিলো না। তবে, সকালের সূর্যটা সেদিন হেসে ছিলো আকবরকে দেখে। সূর্যের সে আগুন সেদিন ঠিকরে বের হয়েছিলো শরিফুল-সাকিব-অভিষেকদের হাত থেকে।
যার এক একটি গোলায় পর্যদুস্ত হয় বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে শক্তিশালী ভারত। বাংলাদেশ জিতলো বিশ্বকাপ। হোক না ছোটদের আসর, তাতে কি। স্বাধীনতার সূবর্নজয়ন্তীর আগে, টাইগার ক্রিকেটে এমন দিন যে আগে কখনো আসেনি।
মোহাম্মদ হাসিব, বাংলা টিভি