
মহান ভাষা দিবসে বীর শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীসহ বিশিষ্টজনেরা। এ সময় বাংলাকে জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে ব্যবহারের স্বীকৃতি আদায়সহ সর্বস্তরে প্রচলিত করতে সরকারের পাশাপাশি সবাইকে এক হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান তারা।
বিনম্র শ্রদ্ধা,ভালোবাসা আর যথাযোগ্য ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে অমর একুশের প্রথম প্রহরে জাতি শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করলো ভাষা শহীদদের।
মহান ‘শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ উপলক্ষে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে তাঁদের সামরিক সচিবেরা। কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে রাত ১২টা ১ মিনিটে প্রথমে রাষ্ট্রপতির পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান তাঁর সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহউদ্দিন ইসলাম। এরপর প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে শ্রদ্ধা জানান তাঁর সামরিক সচিব মেজর জেনারেল নকিব আহমদ চৌধুরী। এ সময় অমর একুশের কালজয়ী গান ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’ বাজানো হয়।
এছাড়া, ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয় সেনা, নৌ ও বিমান এই তিন বাহিনীর পক্ষ থেকে।
পরে স্বাস্থ্য বিধি মেনে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানান দলের নেতারা। এ সময় সাম্প্রদায়িকতার বিষবৃক্ষ বাঙ্গালীর বিজয়ের পথে বাঁধা বলে মন্তব্য করেন দলের সাধারণ সম্পাদক।
সকালে শহীদ বেদীতে শ্রদ্ধা জানাতে আসেন বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতা কর্মীরা। এ সময় ভাষা আন্দোলনের এত বছর পরও স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব নিয়ে যারা আস্ফালন করছে তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান তথ্য মন্ত্রী।
এ ছাড়া জাতির বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান বিশিষ্টজনেরা। শ্রদ্ধা জানানো শেষে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, বায়ান্নোর ভাষা আন্দোলনের চেতনা ধারণ করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় আন্দোলন সংগ্রাম করছেন তারা। বিভিন্ন সংগঠনের পাশাপাশি শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান সর্বস্তরের মানুষ ।
বুকের তাজা রক্ত দিয়ে বাঙ্গালি রক্ষা করেছে বাংলা ভাষার মান। করোনার সংকটময় মুহুর্তে স্বাস্থ্য বিধি মেনে শহিদদের প্রতি সম্মান আবারো প্রমান করলো বাংলির ঐক্যবদ্ধতা। আগামীতে যে কোন সংকটে সবাই এক হয়ে কাজ করেবে এমনটাই প্রত্যাশা সবার।
বাংলাটিভি/শহীদ