দেশের সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যু বাড়ছে। ফলে বিভিন্ন জেলায় চলছে লকডাউন। সংক্রমণ ঠেকাতে স্থানীয়ভাবে বিধি-নিষেধ জোরদার করা হয়েছে। এসব জায়গায় চলাচল বন্ধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে প্রশাসন। রাজশাহীতে মারা গেছে আরও ১৩ এবং খুলনায় ৪ জন।
সাতক্ষীরায় দ্বিতীয় দফা লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে চলছে ঢিলে-ঢালা পরিস্থিতি। তবে লকডাউনের নির্দেশনা না মানায় জরিমানা করছে মোবাইল কোর্ট।
মোংলায় কঠোর বিধি নিষেধ কেবল কাগজে কলমেই। নদী পারাপারে খেয়া, ট্রলার, দোকানপাট ও যান চলাচল পুরোপুরি বন্ধের নির্দেশনা থাকলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি। মোংলা-খুলনা মহাসড়কে চলছে সব ধরণের যানবাহন। কোথাও বিধি নিষেধ মানার বালাই নেই।
সীমান্তবর্তী জেলা কুষ্টিয়ার পৌর এলাকায় ৭দিনের কঠোর বিধি-নিষেধের দ্বিতীয় দিনে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, শপিংমল, দোকান, রেস্টুরেন্ট বন্ধ থাকলেও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির দোকান-পাট সকাল ৮টা থেকে ২টা পর্যন্ত খোলা রয়েছে। কিন্তু সাধারন মানুষ কোন বিধি-নিষেধই মানছে না। তবে বিধি-নিষেধ বাস্তবায়নে মাঠে কাজ করছে প্রশাসন।
রাজশাহীতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। গত ২৪ ঘন্টায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ড ও আইসিইউতে আরও ১৩ জন মৃত্যু বরণ করেন। রাজশাহী মহানগরে চলমান লকডাউনে বন্ধ রয়েছে বাস ও ট্রেন চলাচল। এদিকে, খুলনায় গত ২৪ ঘন্টায় করোনা উপসর্গ নিয়ে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।
নাটোর এবং সিংড়া পৌরসভায় চলছে পঞ্চম দিনের লকডাউন। শহরের মোড়ে মোড়ে বসানো হয়েছে চেক পোস্ট। যানবাহন সীমিত করতে কাজ করছে তারা।
এদিকে, করোনা শনাক্তের হার বেড়ে যাওয়ায় শেরপুর পৌর এলাকায় কঠোর বিধি নিষেধ জারি করেছে প্রশাসন।
ডেস্ক রিপোর্ট/বাংলা টিভি/এস