fbpx
অর্থনীতিদেশবাংলাবানিজ্য সংবাদ

৮০০ বিঘা জমির ওপর ফলজ ও বনজ বাগান গড়ে তুলেছেন শেরপুরের এক যুবক

৮০০ বিঘা জমির ওপর এক স্বর্গীয় বাগান গড়ে তুলেছেন শেরপুরের এক যুবক। যেখানে শোভা পাচ্ছে প্রায় ৫২ হাজার গাছের চারা। মানুষকে কীভাবে বিষমুক্ত ফল খাওয়ানো যায়, সেই চিন্তা থেকেই ঐ ব্যক্তি গড়ে তোলেন ‘মেসার্স মা-বাবার দোয়া ফ্রুট গার্ডেন নার্সারি অ্যান্ড এগ্রোফার্ম’ নামের বাগান। তার এসব উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন আরো অনেকে।

শেরপুর জেলা সদরের হাজী মো: ইব্রাহিম খলিলুল্লাহর তিন ছেলের, সবার বড় হযরত আলী। ব্যবসা করেন, ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে । ব্যবসার ফাঁকে কৃষি বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে, ২০১৯ সালে,সদরের রৌহা গ্রামে, একশ বিঘা জমিতে মাল্টা,কমলা,আঙ্গুর,ড্রাগন,লটকন,পেঁপে,পেয়ারা ও সৌদি আরবের খেজুরসহ, ১২টি প্রজাতির ফল, বাণিজ্যিকভাবে চাষ শুরু করেন।

একই সাথে বিদেশী উন্নত জাতের চায়না কমলা,মালবেরি,থাই সরিষা,ত্বীনসহ আরো ২শ ৭১টি জাতের ফলের, পরীক্ষামূলক চাষ শুরু করেছেন তিনি। ইতোমধ্যে সদর উপজেলার রৌহা,ভাতশালা,কামারিয়া ও বলাইয়ের চর ইউনিয়নে, প্রায় আটশ বিঘা জমিতে ১২টি ফল ও চারা উৎপাদন বাগান করেছেন, হযরত আলী। এখানে প্রায় ২শ লোক প্রতিদিন কাজ করেন।

১২ টি বাগানের মধ্যে ১১টি ফলজ এবং একটি নার্সারী এগ্রো। মাল্টা,কমলা, পেয়ারা,সিডলেস লেবু মূলত বানিজ্যিক। এবছর ১০ থেকে ১১ কোটি টাকার মাল্টা বিক্রি করেছেন,বললেন বাগানের ম্যানেজার।বাগানের মাল্টাসহ অন্যান্য ফল ফরমালিন এবং ক্ষতিকর কীটনাশক ব্যবহার না করায়, এখানে উৎপাদিত ফলের বেশ চাহিদা রয়েছে, স্থানীয়দের কাছে।

হযরত আলী মাল্টা চাষে সফল হওয়ায়, ফলজ বাগানে উজ্জল সম্ভাবনা দেখছে, উপজেলা কৃষি বিভাগ। সফল চাষী হযরত আলী, তার বাগানে ফল চাষের পাশাপাশি, শুরু করেছেন মাছ চাষ, কবুতর, মুরগী ও গরু পালন। তার এসব উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন প্রচুর সংখ্যক উদ্যোক্তা।

শেরপুর প্রতিনিধি  বাংলাটিভি/শহীদ

সংশ্লিষ্ট খবর

Back to top button