fbpx
বাংলাদেশজনদুর্ভোগস্বাস্থ্য

বছরের প্রথম সপ্তাহে করোনা সংক্রমণের হার উদ্বেগজনক

সারা বিশ্বের সাথে পাল্লা দিয়ে দেশেও বাড়ছে করোনা রোগীর সংখ্যা।মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে করোনা সংক্রমণ বেড়েছে শতকরা ৬০ শতাংশ। নানা পদক্ষেপ নেয়ার পরেও দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আসংকাজনক হারে বাড়ছে ওমিক্রনে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। তার পরেও সাধারণ মানুষের মাঝে করোনা নিয়ে চলছে চরম উদাসীনতা। এদিকে,করোনার সুনামি ঠেকাতে সরকারকে কঠোর হওয়ার আহবান জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের।

গেল বছর মহামারি করোনার ডেলটা ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার     পর টালমাটাল ছিল সারা বিশ্ব। তবে ভ্যাকসিন প্রদান কর্মসুচি জোরদারে   খানিকটা নিয়ন্ত্রনে এসেছিল অদৃশ্য এই জীবাণুর সংক্রমণ। সম্প্রতি নিজের গঠন পাল্টে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট নামে করোনা আবারো দাপিয়ে বেড়াচ্ছে পুরো গোটা পৃথিবীতে।

গত ডিসেম্বরের ৬ তারিখে বাংলাদেশে করোনা সংক্রমণের শতকরা হার নেমে এসেছিল এক ভাগের কাছাকাছি। ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়া এবং কমার মধ্য দিয়ে এই ধারা অব্যাহত ছিল।১৮ ডিসেম্বরেও সংক্রমণের হার ছিল শতকরা এক ভাগের কিছু বেশি।কিন্তু এরপর থেকে সংক্রমণ আবারো বাড়তে থাকে। গত ২৪ ঘন্টায় শনাক্তের হার শতকরা ৩ এর ঘরে, যা আতংক ছাড়িয়েছে সচেতন মানুষের মাঝে।

দেশে যেভাবে করোনার সংক্রমন বাড়ছে,তার বিপরীতে সাধারণ মানুষের মাঝে সচেতনতা নিয়ে চলছে চরম উদাসীনতা। মাস্ক ছাড়া চলাফেরা, সামাজিক দূরত্ব না মানা এবং স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করেই চলছে সাধারণ মানুষ।

এদিকে,অতি সংক্রমিত ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট দরজায় কড়া নাড়ায় নড়েচড়ে বসেছে সরকার। ইতিমধ্যে নতুন করে স্বাস্থ্য নির্দেশনা জারির প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের পক্ষ থেকে।তবে এর পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে সরকারকে কঠোর হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।

শুধু সরকারের একার পক্ষে এই ভাইরাস নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়, সে জন্য জনসাধারণকে সচেতনতা জরুরী বলে জানান তারা।সবাইকে সচেতন করার পাশাপাশি শতভাগ টিকা নিশ্চিতের পরামর্শও দেন এ জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।

বাংলাটিভি/শহীদ

সংশ্লিষ্ট খবর

Back to top button