করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন সংক্রমন প্রতিরোধে অনেক ইমিগ্রেশন ও স্থলবন্দরে ঢিলেঢালা ভাবে চলছে কার্যক্রম। এর ফলে স্থানীয়দের মধ্যে ভাইরাস ছড়ানোর আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। আবার ইমিগ্রেশনের বাইরে মাস্ক ছাড়া অনেকেরই ঘোরাফেরা করতে দেখা গেছে। এদিকে, হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোষ্টে স্বাস্থ্যপরিক্ষার জন্য মেডিকেল টিম সময় মত না থাকায় বিপাকে পরতে হচ্ছে পাসপোট যাত্রীদের।
করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন সংক্রমন প্রতিরোধে স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের নির্দেশনা আসার পরও বেনাপোল ইমিগ্রেশন ও স্থলবন্দরে ঢিলেঢালা ভাবে চলছে কার্যক্রম। সংক্রমণ প্রতিরোধে বেনাপোল ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে ভারত ফেরত যাত্রীদের বাড়তি সতর্কতা নিতে দেখা গেলেও, বন্দরে ভারত থেকে আগত ট্রাক ও ড্রাইভার হেলপারদের স্বাস্থ্য পরীক্ষায় তেমন কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। মাঝে মধ্যে ২/৪টি ট্রাকে জীবাণুনাশক স্প্রে করা হলেও অন্য ট্রাকগুলোতে জীবাণুনাশক স্প্রে করা হচ্ছে না। মাস্ক,পিপি ছাড়া ভারতীয় ট্রাকচালকরা অবাধে ঢুকছে বেনাপোল বন্দরে।
করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন মোকাবেলায় সতর্ক অবস্থানে রয়েছে আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন স্বাস্থ্য বিভাগ। ভারত থেকে আগত বাংলাদেশী ও ভারতীয় যাত্রীদের করা হচ্ছে এন্টিজেন টেস্ট পরীক্ষা। পরীক্ষায় করোনা পজিটিভ হলে ভারতীয় নাগরিকদের নিজ দেশে ফেরত দেয়া হচ্ছে এবং বাংলাদেশি যাত্রীদের কোয়ারেন্টাইন বা জেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হচ্ছে।
হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোষ্টে স্বাস্থ্য পরিক্ষার জন্য মেডিকেল টিম সময় মত না থাকায় বিপাকে পরতে হচ্ছে পাসপোট যাত্রীদের। ভারত যাত্রী গ্রহন না করায় হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোষ্ট দিয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতে যাত্রী যাওয়া শুরু হয়নি। তবে ভারত থেকে এই পথ দিয়ে পাসপোর্ট যাত্রীদের দেশে ফেরা কার্যক্রম চালু রয়েছে।
গড়ে প্রতিদিন ৩/৫ জন করে পাসপোর্ট যাত্রী এই পথ দিয়ে দেশে ফিরছেন। ৭২ঘন্টার মধ্যে করোনা পরিক্ষার নেগেটিভ সনদ নিয়ে দেশে আসতে হচ্ছে।
বাংলাটিভি/শহীদ