নরসিংদীতে নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পালিত হয়েছে শহীদ আসাদ দিবস
নরসিংদীতে নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পালিত হয়েছে শহীদ আসাদ দিবস। ১৯৬৯ সালের ২০ জানুয়ারি ১১ দফা আন্দোলনের অগ্রনায়ক আমান উল্লাহ মোহাম্মদ আসাদ। স্বৈরাচারী আইয়ুব বিরোধী ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের হরতাল চলাকালে, পাকিস্তানি পুলিশ এবং ইপিআর বাহিনীর বুলেটের আঘাতে, ঢাকা মেডিকেল কলেজের সামনে শহীদ হন ছাত্রনেতা আসাদ। বর্তমান প্রজন্মের শিক্ষার্থীরা ভুলতে বসেছে এই বীর সেনানীকে। তাঁর সম্পর্কে জানতে পাঠ্যপুস্তকে আরো বেশী লেখালেখিসহ জাদুঘর,পাঠাগার ও বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণের দাবী সকল শ্রেণী পেশার মানুষের।
‘আসাদের মন্ত্র, জনগণতন্ত্র’। এই শ্লোগান ধারণ করে, গণতন্ত্রকে মুক্ত করতে অকুতোভয় এ বীরসেনানী রাজপথে নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন। আসাদের সেই আন্দোলনের ধারাবাহিকতায়, স্বৈরশাসনের পতন ত্বরান্বিত হয়েছিল। অর্জিত হয়েছিল গণ মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার। গণতন্ত্রের জন্য শহীদ আসাদের আত্মদান, দেশের পরবর্তী সময়ে আন্দোলন সংগ্রামকে আরও অনুপ্রাণিত করে। একটি স্বাধীন গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের জন্য, আমৃত্যু সংগ্রাম করে গেছেন শহীদ আসাদ।
প্রতিবছর ফিরে আসে এ দিনটি। এ উপলক্ষে নরসিংদীসহ রাজধানীতে বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠন, বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেন। আসাদ সম্পর্কে জ্ঞ্যান লাভের লক্ষ্যে পাঠ্যপুস্তকে আরো বেশী লেখালেখিসহ, জাদুঘর,পাঠাগার ও বিশ্ববিদ্যালয় নির্মানের দাবী শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ সূধীমহলের।
আজকের প্রজন্মের মাঝে আসাদের আদর্শকে ছড়িয়ে দিতে হবে। বলেছেন এই শিক্ষাবিদ।শহীদ আসাদ ১৯৪২ সালের ১০ জুন নরসিংদী জেলার শিবপুরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৬০ সালে মেট্রিক এবং ১৯৬৩ সালে ইন্টারমিডিয়েট পাস করে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে, ইতিহাসে সম্মানসহ এমএ পাস করেন।
ডেস্ক রিপোর্ট/ বাংলা টিভি/ এস