
খাদ্যের দাম বৃদ্ধি এবং পানি দূষণের ফলে, বিলুপ্তির পথে চাঁদপুরের ভাসমান খাঁচায় মাছ চাষ প্রকল্প। ইতোমধ্যে পুঁজি হারিয়ে, অনেক চাষি বন্ধ করে দিয়েছে এই চাষাবাদ। তাদের দাবি,পানি দূষণের ফলে মারা যাচ্ছে চাষকৃত মাছ। এতে, আর্থিকভাবে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ তারা। তাই সংকট সমাধানে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার দাবি তাদের। অপরদিকে মৎস্য অধিদপ্তর বলছে,পানির নমুনা সংগ্রহ কোরে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে।
২০০২ সালে দেশে সর্বপ্রথম চাঁদপুরের ডাকাতিয়া নদীতে শুরু হয়, ভাসমান পদ্ধতিতে খাঁচায় মাছ চাষ। এতে ব্যাপক সাফল্য পেয়ে, ২০০৫ সাল থেকে বিস্তার ঘটে এই পদ্ধতির মাছ চাষে। এর পরেই চাঁদপুরকে মডেল ধরে নরসিংদী,সিরাজগঞ্জ ও মুন্সিগঞ্জসহ, দেশের বিভিন্ন জেলায় শুরু হয়, খাঁচায় মাছ চাষ কার্যক্রম। অন্য সকল পদ্ধতির চেয়ে বেশী সাশ্রয়ী,সুবিধাজনক এবং লাভজনক হওয়ায়, অনেক উদ্যোক্তাই শুরু করেন, এই পদ্ধতিতে মাছ চাষ। কিন্তু গত ৩ বছরে খাঁচা কমেছে ৫ শতাধিক। নদীর পানি দূষণকে এর প্রধান কারণ বলে মনে করেন, চাষিরা।
সাধারণত, খাঁচায় তেলাপিয়া মাছ চাষ করা হয়। আর সম্ভাবনাময় এই শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে, দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার দাবি উদ্যোক্তাদের।
তাদের অভিযোগের ভিত্তিতে, নদী কেন্দ্র চাঁদপুরের বিশেষজ্ঞ দল, ডাকাতিয়ার পানির নমুনা সংগ্রহ করেছেন। মৎস্য অধিদপ্তর এ বিষয়ে কাজ করছে বলে জানান, মৎস্য কর্মকর্তা।
অতীতে ভাসমান পদ্ধতিতে খাঁচায় মাছ চাষের মাধ্যমে, চাঁদপুরসহ অন্যান্য জেলার আমিষের চাহিদা পূরণ করা হতো। এই জেলায় অতীতে ১৬০ জন চাষীর প্রায় ২ হাজার ভাসমান খাঁচা থাকলেও, বর্তমানে তা অর্ধেকে নেমে এসেছে। তাই সমস্যা নিরসনে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ চেয়েছেন মাছ চাষীরা।
ডেস্ক রিপোর্ট/ বাংলা টিভি/শহীদ