জ্বালানি সংকটের কথা বলে একটি মহল বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে: কাদের

দেশে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সংকট চলছে বলে একটি চিহ্নিত মহল উদ্দেশ্যমূলকভাবে অপপ্রচার ও বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে এবং দেশের ভেতরে অনেকে শুধু মূল্যস্ফীতির কথা বলে মানুষকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা করছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে আজ সোমবার সকালে এক ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, অর্থনৈতিক অবরোধ, আন্তর্জাতিক বাজারে তেল, গ্যাস, সারের মূল্যবৃদ্ধির নেতিবাচক প্রভাব মোকাবিলায় বাংলাদেশ সরকার নানামুখী সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নিয়েছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিশ্বের অনেক দেশ অসহনীয় এবং আকাশচুম্বী মূল্যস্ফীতি মোকাবিলা করতে হিমশিম খাচ্ছে। উন্নত বিশ্বের মূল্যস্ফীতির হারের দিকে তাকালে বিশ্ব অর্থনৈতিক সংকটের তীব্রতা টের পাওয়া যায়।’
সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘যেখানে জুন মাসে যুক্তরাষ্ট্রে ৯ দশমিক ১ শতাংশ, যুক্তরাজ্যে ৯ দশমিক ৪ শতাংশ, জার্মানিতে ৮ দশমিক ৯ শতাংশ, রাশিয়ায় ১৫ দশমিক ৯ শতাংশ, তুরস্কে ৭৮ দশমিক ৬ শতাংশ, নেদারল্যান্ডসে ৯ দশমিক ৪ শতাংশ, শ্রীলঙ্কায় ৩৯ দশমিক ৯ শতাংশ ও পাকিস্তানে মুল্যস্ফীতি ২১ দশমিক ৩ শতাংশ, সেখানে বাংলাদেশে জুন মাসে মুদ্রাস্ফীতি ছিল ৭ দশমিক ৫৬ শতাংশ।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘দেশে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সংকট চলছে বলে একটি চিহ্নিত মহল উদ্দেশ্যমূলকভাবে অপপ্রচার ও বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। প্রকৃতপক্ষে বৈশ্বিক করোনা মহামারি-পরবর্তী সময়ে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের এ সময়ে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে পৃথিবীর জ্বালানি সাপ্লাই চেইন অস্থিতিশীল হয়ে পড়ে। এর ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানির মূল্যের অস্বাভাবিক ঊর্ধ্বগতি দেখা দেয়।’
পৃথিবীর প্রায় ৯০ শতাংশের বেশি দেশ প্রাথমিক জ্বালানির জন্য আমদানির ওপর নির্ভরশীল জানিয়ে সড়ক পরিবহণ মন্ত্রী বলেন, ‘আমদানিকারক দেশ হিসেবে এ পরিস্থিতির নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশেও।’
সেতুমন্ত্রী আরও বলেন, ‘এ মুহূর্তে পশ্চিমা দেশগুলোসহ পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই চলছে জ্বালানি সংকট। পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য তারা ব্যাপকভাবে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির ব্যবহার কমিয়েছে।’
বিশ্বব্যাপী জ্বালানি সংকটের পরিপ্রেক্ষিতে বিদ্যুৎ উৎপাদনে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘অনেক উন্নত দেশেও বিদ্যুৎ উৎপাদন হ্রাস পেয়েছে। এর অনিবার্য প্রভাব পড়েছে অর্থনীতি ও উৎপাদন ব্যবস্থায়।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের দি ইভিনিং স্ট্যান্ডার্ড পত্রিকায় বলা হয়েছে, দক্ষিণ-পূর্ব লন্ডনে বিদ্যুৎ-বিভ্রাট এড়াতে যুক্তরাজ্য সরকার বিদ্যুতের জন্য নিয়মিত মূল্যের তুলনায় পাঁচ হাজার শতাংশ বেশি মূল্য পরিশোধ করতে বাধ্য হচ্ছে।’
ওবায়দুল কাদের এ প্রসঙ্গে আরও বলেন, ‘‘‘নিউইয়র্ক শহরের মেয়র এরিক অ্যাডামস বলেছেন, ‘আমরা যে অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে রয়েছি, তা আপনারা কল্পনাও করতে পারবেন না। ওয়াল স্ট্রিট ধসে পড়ছে, আমরা মন্দার মধ্যে রযেছি।
বাংলাটিভি/শহীদ