দেশ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা স্মরণ রাখতে ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের শিক্ষার্থীদের আহবান

আধুনিক উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হয়েও বাংলাদেশেী শিক্ষার্থীরা যাতে দেশ, মুক্তিযুদ্ধ ও শেকড়ের ঐতিহ্য ভুলে না যায় সেজন্য শিক্ষক ও অভিভাবকদের সচেতন থাকার আহবান জানিয়েছেন বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের অ্যাপিলেট ডিভিশনের বিচারপতি জাহাঙ্গির হোসাইন।
শুক্রবার রাজধানী ঢাকার গুলশানে সিডনী ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের বার্ষিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের সমাপনীতে যোগ দিয়ে তিনি এ আহবান জানান।
তিনি বলেন,প্রযুক্তির সম্মিলনে বৈশ্বিক অঙ্গনে বাংলাদেশকে আরো এগিয়ে নিতে এই নতুন প্রজন্মকেই কাজ করতে হবে। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে,বাংলাদেশ সুপ্রীমকোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশনের বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহ বলেন, মানুষের নৈতিক বিচার বোধ ও মানবিকতা শেখার এই বয়সে প্রধান ক্ষেত্র হচ্ছে বিদ্যালয় ও পরিবার। তাই দেশের ইংরেজি মিডিয়াম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বিদেশী কারিকুলামে পরিচালিত হলেও সেখানে দেশীয় ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি শেখাতে হবে। আর এজন্য প্রতিষ্ঠানের বাংলাদেশী উদ্যাক্তাদের দায়িত্ব পালন করতে হবে বেশি করে।
অনুষ্ঠানে গেস্ট অব অনার হিসেবে কেমব্রিজ এ্যাসেসমেন্ট ইন্টারন্যাশনাল এডুকেশনের বাংলাদেশ কান্ট্রি ম্যানেজার শাহিন রেজা বলেন, সিডনী ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের কো কারিকুলাম একটিভিটিজ শিক্ষার্থীদের প্রকৃত মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে সহায়তা করবে। আর ইউনাইটেড ওয়ার্ল্ড কলেজ বাংলাদেশের ন্যাশনাল কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট খাদিজা আফজাল মনে করেন, শুধু প্রাতিষ্ঠানিক পাঠ্যপুস্তক নির্ভর শিক্ষা মানুষকে বিকশিত করে না, তার মেধাকে সৃজনশীল করে গড়ে তুলতে পারলে সেই ব্যক্তির সঙ্গে পরিবার সমাজ ও রাষ্ট্র উপকৃত হয়।
গুলশান ক্লাবে আয়োজিত সিডনী ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের বার্ষিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের সমাপনী আয়োজনে স্কুলটির প্রতিষ্ঠাতা মাইনুল মৃধা বলেন, সিডনী স্কুলের প্রত্যেক শিক্ষার্থী বাংলাদেশের অ্যাম্বাসেডর হিসেবে দেশকে তুলে ধরতে কাজ করবে। আর সে লক্ষ্যে তাদের প্রস্তুত করার জন্য কাজ করছেন স্কুলের শিক্ষকরা।
একই সাথে সিডনী স্কুলের শিক্ষার্থীদের, বিদেশের বিখ্যাত সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির যোগ্য করে তুলতেও কাজ করছেন তারা। অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের মনোসাংস্কৃতিক পরিবেশনায় মুগ্ধ হন আগত অতিথি, অভিভাবক ও শিক্ষকমন্ডলী।