সাংবাদিক শ্যামল দত্ত ও মোজাম্মেল বাবুকে ময়মনসিংহের ধোবাউড়া এলাকা থেকে আটক করা হয়েছে। তাদের সঙ্গে আরও আটক হয়েছেন, একাত্তর টেলিভিশনের সিনিয়র রিপোর্টার মাহবুবুর রহমান ও ড্রাইভার সেলিম।অবৈধভাবে ভারত যাওয়ার পথে তাদের আটক করা হয়।
রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) ভোররাতে দিকে স্থানীয় জনতা তাদের আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। বর্তমানে ধোবাউড়া থানায় আছেন তারা।
স্থানীয়রা জানায়, রাত ২টার দিকে ময়মনসিংহ ধোবাউড়া সড়কের গোয়াতলা বাজার হয়ে একটি প্রাইভেট কার উপজেলা হাসপাতালের সামনে গিয়ে থামে। সেখান থেকে মোজাম্মেল হক বাবু, শ্যামল দত্ত, মাহবুবুর রহমান ও প্রাইভেটকার চালক সেলিমকে মোটরসাইকেলে করে সীমান্তে নিয়ে যায় দুই ব্যক্তি। মোটরসাইকেলে করে তারা ধোবাউড়া সদর ইউনিয়নের দর্শা শেক বাজার এলাকায় পৌঁছায়। সেখান থেকে ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করেন তারা। পরে তাদের আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
জানা গেছে, রাজু ও মুশফিক নামে স্থানীয় দুই যুবকের সাথে ভারতে পৌঁছে দেয়ার চুক্তি হয় তাদের। তারাই তাদের সীমান্তে নিয়ে যায়।
উসকানি দেওয়ার অভিযোগে তারাসহ মোট ৫৩ জনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে। এর মধ্যে ৩০ জন সাংবাদিক। আন্দোলনে নিহত রিয়ানের বাবা আব্দুর রাজ্জাক গত ২৯ আগস্ট আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থায় এ অভিযোগ দাখিল করেন।
এর আগে, পরিবারসহ ভারতে যাওয়ার সময় দৈনিক ভোরের কাগজ সম্পাদক শ্যামল দত্তকে আটকে দিয়েছিল ইমিগ্রেশন পুলিশ। ওইদিন বিকেল ৩টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে তিনি সপরিবারে ভারতে ঢোকার চেষ্টা করেন।