রোববার কার্যকর হবে গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তি: কাতারের প্রধানমন্ত্রী

২০২৩ সালের অক্টোবরে শুরু হয় ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার সহিংসতা। ১৫ মাস ধরে চলা এ সহিংসতার যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে রোববার (১৯ জানুয়ারি)। এর আগে, ছয় সপ্তাহের প্রাথমিক যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সম্মত হয় ইসরায়েল ও হামাস।
যুদ্ধবিরতি আলোচনায় অন্যতম প্রধান মধ্যস্থতাকারী দেশ কাতার। দেশটির প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান আল থানি বলেছেন, ইসরায়েলের পার্লামেন্টে অনুমোদন পাওয়ার পর এ চুক্তি কার্যকর হবে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, এ চুক্তির ফলে গাজায় লড়াই বন্ধ হবে, ফিলিস্তিনিদের জন্য মানবিক ত্রাণ সহায়তা বাড়বে এবং জিম্মিরা তাদের পরিবারের কাছে ফিরে যাবে। যুদ্ধবিরতি শুরুর ঠিক পরদিনই নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
অপরদিকে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, চুক্তির অনেক বিষয় চূড়ান্ত করার আগে আরও কাজ বাকি আছে। এ চুক্তিতে জোর দেওয়ার জন্য তিনি জো বাইডেন ও যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানান।
অন্যদিকে হামাস নেতা খলিল আল হাইয়া বলেছেন, ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতিরোধের ফসল এই চুক্তি।
তিন ধাপের এই চুক্তি গাজায় যুদ্ধবিরতি, সেখান থেকে ইসরায়েলি বাহিনী প্রত্যাহার এবং হামাসের হাতে বন্দি জিম্মিদের মুক্তি অন্তর্ভুক্ত।
এখনও গাজায় ইসরায়েলি হামলা অব্যাহত রয়েছে। বুধবার যুদ্ধবিরতি চুক্তির ঘোষণা আসার পর ইসরায়েলি বিমান হামলায় ২০ জনেরও বেশি নিহত হওয়ার তথ্য জানিয়েছে হামাসের সিভিল ডিফেন্স এজেন্সি।
প্রসঙ্গত, হামাসের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে যুদ্ধে ইসরায়েলের হামলায় ৪৬ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন এক লাখ ১০ হাজার ২৬৫ জন। তবে আহত-নিহতের সংখ্যা এর চেয়েও বেশি বলে ধারণা করছে একাধিক পশ্চিমা গণমাধ্যম।