বাঁশ দিয়ে সড়ক আটকে তিতুমীরের শিক্ষার্থীদের অবস্থান

সরকারি তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাসহ সাত দফা দাবিতে এবার বাঁশ দিয়ে তিতুমীর কলেজের সামনের দুই পাশের রাস্তা আটকে দিলেন তারা। আজ রোববার দুপুর ১২টার দিকে রাস্তা দুটি আটকে দেন শিক্ষার্থীরা। এতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।
টানা ৫ দিন ধরে অনশন কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা। একই সঙ্গে চলছে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধের কর্মসূচি।
রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১২টার দিকে তারা ওই সড়কে অবস্থান নেন।
শনিবার রাতে দ্রুত দাবি বাস্তবায়ন করা না হলে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা দিয়েছিলেন তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা। তারা বলেছেন, জনভোগান্তি করতে চাই না, অল্প সময়ের জন্য গুলশান ও মহাখালী অবরোধ করে বার্তা দেয়ার চেষ্টা করছি আমরা।
শুক্রবারের ধারাবাহিকতায় শনিবারও (১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার পর গুলশান-১ আটকে সড়কে অবস্থান নেয় তিতুমীরের শিক্ষার্থীরা। তারা এদিন বিকেল চারটার পর থেকে তাদের কর্মসূচি শুরু করেন।
এরপর সাতটার দিকে গুলশান সড়ক ছেড়ে দিয়ে মহাখালীর আমতলীতে ফিরে আসেন শিক্ষার্থীরা।
পরে তারা সাংবাদিকদের জানান, জনদুর্ভোগ তৈরি না করা ছাড়া রাষ্ট্র কথা বলতে চায় না, সরকারকে এ ধারা থেকে বের হতে হবে। আমাদের ‘বারাসাত ব্যারিকেড টু নর্থ সিটি’ কর্মসূচি চলবে।
তিতুমীর ঐক্যের মাহমুদ মুক্তার কথা এসময় বলেন, মন্ত্রণালয়ের নোটিশ প্রত্যাখ্যান করেছে তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা।
এর আগে এক বিবৃতিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়, তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের ঘোষণা আদায়ে সময় বেঁধে দিয়ে আন্দোলন করার যৌক্তিকতা নেই। একইসাথে আন্দোলনে সংশ্লিষ্ট সকলকে ধৈর্য ধারণ করার অনুরোধ করা হয় বিবৃতিতে।
মাহমুদ মুক্তা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘টালবাহানা’ কথা বলে ‘দাঙ্গা’ লাগাবেন না, কিছু হলে তার জন্য দায়ী থাকবে সরকারের অকার্যকর প্রশাসন।