ড্রোন আতঙ্ক : ইজতেমায় মোনাজাতের সময় , পদদলিত হয়ে আহত ৬৪

টঙ্গীর তুরাগ তীরে আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের ধাপ শেষ হয়েছে। রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) মাওলানা জুবায়ের আহমেদের পরিচালনায় আখেরি মোনাজাতের সময় ইজতেমার চারপাশে মুসল্লিদের মধ্যে দেখা দেয় ড্রোন আতঙ্ক।
জানা যায়, রোববার সকাল ৯টা ৩৩ মিনিটে বিশ্ব ইজতেমায় আখেরি মোনাজাতের সময় উড়ছিলো একটি ড্রোন। এসময় টঙ্গী স্টেশন রোড এলাকায় বেলুনের ওপর আছড়ে পড়ে ড্রোনটি। এতে আতঙ্কিত হয়ে দিগ্বিদিক ছুটোছুটি শুরু করেন মোনাজাতে অংশ নেয়া মুসল্লিরা। পরে, পদদলিত হয়ে ৬৪জন মুসল্লি আহত হয়েছেন।
মুসল্লিরা জানান, ইজতেমার মোনাজাতের সময়ে ড্রোন উড়ে বেলুনের ওপড়ে পড়ে বিকট শব্দ হওয়ায় দৌড়াদৌড়ি করে অনেক মুসল্লি আহত হয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে টঙ্গী সরকারি হাসপাতালেসহ স্থানীয় প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
আহতরা হলেন রাজধানীর দক্ষিন খানের আবুল কালাম (৬০), রামপুরার আব্দুল করিম (২৮), বাড্ডার সাইদুলইসলাম (৩৮), নারায়নগঞ্জের আল-আমীন (৩২), আনোয়ার হোসেন (৪৩), আমজাদ (৩০), টঙ্গীর ওবায়দুল্লাহ (৫২), কবির হোসেন (৪৬), নাজিম উদ্দিন (৪০), বাসেত (১৩), খোকন (৪৩), মোবিন (১৮), আয়নাল হক (২২), জহুরুল (২৮), টঙ্গীর পাগাড় এলাকার জাফর উদ্দিন (৩১), আরিচপুরের কবির হোসেন (৩০), আউচপাড়ার মকবুল হোসেন (৩৬), আব্দুল্লাহপুরের রায়হান (২৭), সোহাগ বানু (৬০), গাজীপুরের জয়নাল (৫৪), কাওসারুল আলম (২৮), গাজীপুরের তারগাছ এলাকার রাতুল (১৮), জয়দবেপুরের জয়নাল আবদেীন (২৪), জয়দবেপুর চৌরাস্তা এলাকার মোশারফ (৩০), মাছিমপুর এলাকার কোরবান আলী (২৫), হবিগঞ্জেরে সিজিল (৬০), টাঙ্গাইলের গোপালপুরের সাইফুল ইসলাম (৩০), সালামত (১৮), মোস্তাকিম (১০), গাজীপুরের শ্রীপুরের মাওনার আমজাদ সরকারের ছেলে জুয়েল (২৫), সিলেটের গোলাপগঞ্জের জহুরুল ইসলাম (৩১), ময়মনসিংহের ধোবাউড়ার আলী নেওয়াজ (৩৮), নাটোরের আফতাব উদ্দিন (৪৩), নাটোরের মামুন হোসেন (২৯), নবাবজঞ্জের আমান (২২)।
টঙ্গী পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফরিদুল ইসলাম বলেন, একটি ড্রোন আকাশে উড়ছিলো সম্ভবত ড্রোনটির চার্জ শেষ হয়ে যাওয়ায় সেটি ২নং গেটের একটু সামনে এলাকায় আঁছড়ে পড়ে। তবে মুসল্লিরা অনেকেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। বিষয়টি তদন্ত চলছে।