
বাংলাদেশের প্রশাসনের প্রায় ৮০ শতাংশই ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’-এর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে— এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালিক।
সোমবার (৬ অক্টোবর) রাতে সিলেটের দক্ষিণ সুরমার এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সভাটি আয়োজন করেন যুক্তরাজ্য প্রবাসী লিলু মিয়া।
এম এ মালিক বলেন, “আওয়ামী লীগ তাদের নেতৃত্ব ভারতের কাছে বিক্রি করে দিয়েছে। শেখ হাসিনা দেশের সার্বভৌমত্ব ক্ষুন্ন করে ভারতের হাতে করিডোর দিয়েছে, যা দেশের জনগণ নিজেরাও ব্যবহার করতে পারতো না।”
তিনি অভিযোগ করেন, শেখ হাসিনা ২২.৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিদেশে পাচার করেছেন। দেশের ব্যাংকিং খাত দুর্বল হয়ে পড়েছে, টাকা ছাপিয়ে বেতন ও সার কেনা হচ্ছে, সাধারণ মানুষ বিদেশে টাকা পাঠাতে পারছে না।
তিনি আরও বলেন, “রামপাল থেকে শুরু করে রয়েল বেঙ্গল টাইগার পর্যন্ত ভারতের কাছে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দরেও ভারতের ট্রলারকে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। ১৫ বছরে দেশ এক ভয়াবহ অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক সংকটে পড়েছে।”
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার মাধ্যমে দুই বছর কারাবরণ, তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা প্রসঙ্গেও তিনি বক্তব্য দেন।
এম এ মালিক বলেন, “বিএনপি বাংলাদেশের ৯৯% মুসলমানের দল। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান আল্লাহর ওপর আস্থা ও বিশ্বাস সংবিধানে যুক্ত করেন। খালেদা জিয়া গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছেন এবং তারেক রহমান গত ১৫ বছর ধরে দলকে নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন।”
তিনি জানান, তারেক রহমানের ৩১ দফা রূপরেখা অনুসারে দক্ষিণ সুরমা উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ঘরে ঘরে লিফলেট বিতরণ করা হচ্ছে। তিনি বলেন, “বিএনপি উন্নয়নের রাজনীতিতে বিশ্বাস করে, কোনো জাতীয়তাবাদী দল দেশ বিক্রি করে না।”
জাতিসংঘে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব এবং গুম-খুনের বিচার দাবি প্রসঙ্গে মালিক বলেন, “ইলিয়াস আলী, চৌধুরী আলমসহ প্রায় ১৫০০ নেতার বিচারবহির্ভূত হত্যার তথ্য আমরা জেনেভায় উপস্থাপন করেছি। ১৬ বছর ধরে আমরা হাসিনার স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে আসছি।”
তিনি উল্লেখ করেন, “যুক্তরাজ্যে শেখ হাসিনাকে একবার ১১ দিন অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছিল। প্রায় এক লাখ প্রবাসী ব্রিটিশ বিএনপি কর্মী প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ঘেরাও করেছিলেন।”
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- দক্ষিণ সুরমা উপজেলা বিএনপির সভাপতি শাহাবুদ্দিন, তেতলি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আজমল আলী, লালবাজার ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আমিনুর রহমান চৌধুরী মিয়া, তেতলি ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক, এবং ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রোমেল আহমদসহ আরও অনেকে।



