
বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালিক অভিযোগ করেছেন, কিছু গোষ্ঠী প্রপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন (পিআর) পদ্ধতির দাবি তুলে দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করছে।
তিনি আরও বলেন, ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’ (RAW) আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় জাতীয় নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করতে ষড়যন্ত্র করছে।
বুধবার (৪ অক্টোবর) বিকেলে সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার মোল্লারগাঁও ইউনিয়নে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৩১ দফা কর্মসূচি এবং বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় আয়োজিত দোয়া ও আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মালিক আরও বলেন, ষড়যন্ত্রকারীরা নির্বাচনের সময়সূচি বিলম্বিত বা ব্যর্থ করার জন্য “জনবৈচিত্র্যের বিতর্ক”কে ব্যবহার করছে। তিনি দাবি করেন, নির্বাচনে বিদেশি হস্তক্ষেপ ও দেরি হলে তা গত বছরের জুলাইয়ের আন্দোলনে জীবন দেওয়া ছাত্রদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা হবে।
তিনি বলেন, তারেক রহমান শিগগিরই দেশে ফিরে দলের নির্বাচনী প্রচারণায় নেতৃত্ব দেবেন। এ সময় তিনি উল্লেখ করেন, দলের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং তার “ক্যাবিনেট” নির্বাচনের জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত।
বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতিকে মুক্তিযুদ্ধ-পরবর্তী অরাজকতার সঙ্গে তুলনা করে মালিক বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান দেশের প্রথম বহুদলীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা চালু করেছিলেন এবং বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দীর্ঘ ৯ বছরের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের মাধ্যমে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেন।
তিনি আরও বলেন, গত ১৫ বছর ধরে একটি “দানবীয় সরকার” দেশের জনগণকে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করে রেখেছে। এই সময় জুড়ে তারেক রহমান জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন।
দক্ষিণ সুরমার স্থানীয় সমস্যা সমাধানের প্রতিশ্রুতি দিয়ে এম এ মালিক বলেন, ডিসেম্বরের মধ্যেই এলাকার রাস্তা মেরামতের কাজ শেষ করা হবে। তিনি জানান, উন্নয়ন কাজের জন্য এমপি বা মন্ত্রী হওয়া প্রয়োজন নেই, বরং আন্তরিকতা ও সময়ের সঠিক ব্যবহারে কাজ সম্ভব। এজন্য স্থানীয় জনগণের মধ্য থেকে দুই জন প্রতিনিধি নিয়োগের অনুরোধ জানান।
এছাড়া, একটি স্কুল ভবন সংস্কারের জন্য প্রয়োজনীয় তহবিল দ্রুত সংগ্রহের প্রতিশ্রুতি দেন এবং আগামী দুই দিনের মধ্যে দাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিনিধিদের এলাকা পরিদর্শনে নিয়ে আসবেন বলেও জানান।
মালিক ‘ধানের শীষ’ প্রতীকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ফেব্রুয়ারির নির্বাচন হচ্ছে দেশের গণতান্ত্রিক অধিকার পুনরুদ্ধারের এক ঐতিহাসিক সুযোগ।



