fbpx
অন্যান্যবাংলাদেশ

শহীদ ডা. মিলন দিবস পালিত

আজ (২৭ নভেম্বর) শহীদ ডা. মিলন দিবস। ৯০-এর স্বৈরাচার বিরোধী গণঅভ্যুত্থানের শ্রেষ্ঠ সন্তান বিএমএ’র তৎকালীন যুগ্ম-সম্পাদক শহীদ ডা. শামসুল আলম খান মিলন -এর ২৮তম শাহাদত বার্ষিকী। বাংলাদেশ মেডিক্যাল এসোসিয়েশন-বিএমএ যথাযোগ্য মর্যাদায় বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে দিবসটি পালন করেছে। এ লক্ষ্যে বাংলাদেশ মেডিক্যাল এসোসিয়েশন (বিএমএ) আজ ২৭ নভেম্বর ২০১৮ মঙ্গলবার সকাল ০৮:৩০ টায় কালোব্যাজ ধারণ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ প্রাঙ্গণে শহীদ ডা. মিলনের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, সকাল ০৯:০০ টায় টিএসসি মোড়ে শহীদ ডা. মিলন স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন ও সকাল ০৯:৩০টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজের শহীদ ডা. মিলন চত্ত¡রে এক আলোচনা সভার আয়োজন করে।
বিএমএ সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শহীদ ডা. শামসুল আলম খান মিলন এর জননী সেলিনা আখতার ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা ও বিএমএ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।

শহীদ ডা. মিলনের মহিয়সী জননী সেলিনা আখতার ব্যথাতুর হৃদয়ে মিলনকে স্মরণ করেন ও দেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠার প্রতি সকলের প্রতি আহবান জানান। মিলন যে স্বপ্ন লালন করত তার অনেকটাই বাস্তবায়ন হয়েছে বলে তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন।
বিএমএ সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন শহীদ ডা. মিলনের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, তৎকালীণ বিএমএ’র নেতৃত্বে স্বৈরাচার সরকারের চাপিয়ে দেওয়া গণ-বিরোধী স্বাস্থ্য নীতির বিরুদ্ধে ও চিকিৎসকদের ২৩ দফার দাবীতে যে আন্দোলন সংগ্রাম চলছিল সেখানে মিলনের ব্যাপক অবদান ছিল। অসীম সাহসী মিলন দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে ও চিকিৎসকদের ২৩ দফা দাবী বাস্তবায়নে নিজেকে উৎস্বর্গ করে গেছেন। ৯০ পরবর্তী সরকার মিলনের স্বপ্ন বিএমএ প্রণীত চিকিৎসকদের ২৩ দফা দাবীর প্রতি তেমন কোন নজর না দিলেও বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের সময়ে চিকিৎসকদের প্রায় সকল দাবীই বাস্তবায়িত হয়েছে। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার মহাজোট সরকারকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় অধিষ্টিত করে মিলনের অসম্পূর্ণ কাজ সম্পন্ন ও মিলন হত্যাকান্ডের পুন:তদন্ত করে বিচার শেষ করার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেন।

শহীদ ডা. মিলনের স্মৃতিচারন করে আলোচনায় আরো অংশগ্রহন করেন, বিএমএ সাবেক সভাপতি ডা. সোহরাব আলী, বিএমএ সহ-সভাপতি ডা. কনক কান্তি বড়–য়া, বিএমএ মহাসচিব ডা. মোঃ ইহতেশামুল হক চৌধুরী, বিএমএ সাবেক মহাসচিব ডা. মোঃ শফিকুর রহমান, বিএমএ সাবেক সহ-সভাপতি ডা. কামরুল হাসান খান, বিএমএ সাবেক মহাসচিব ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ, বিএমএ কোষাধ্যক্ষ ডা. মোঃ জাহিদ হোসেন, বিএমএ কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদ সদস্য ডা. মোঃ জামাল উদ্দিন চৌধুরী, বিএমএ কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদ সদস্য ডা. মোহাম্মদ মুশতাক হোসেন, বিএমএ যুগ্ম-মহাসচিব ডা. মোঃ কামরুল হাসান মিলন, বিএমএ কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদ সদস্য ডা. উত্তম কুমার বড়–য়া, বিএমএ সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. মোঃ তারিক মেহেদী পাভেজ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ শিক্ষক সমিতির সভাপতি ডা. মোঃ আবু ইউসুফ ফকির ও বিএমএ কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদ সদস্য ডা. মোঃ জাবেদ প্রমুখ। সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন বিএমএ কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদের বর্তমান ও সাবেক নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের চিকিৎসকবৃন্দ, বিএমএ কেন্দ্রীয় কাউন্সিল সদস্যবৃন্দ সহ বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশা নেতৃবন্দ উপস্থিত ছিলেন।
অন্যান্য বিশেষ অতিথি ও চিকিৎসক নেতৃবৃন্দ ৯০ এ দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে শহীদ ডা. মিলনের অবদানের কথা স্মরণ করে সেই সময়ের স্মৃতিচারণ করেন। বক্তারা বলেন, দেশে মুক্তিযদ্ধের চেতনার গণতান্ত্রিক সরকার বিদ্যমান থাকলেই শহীদ ডা. মিলনের আতœদান স্বার্থক হবে। শহীদ ডা. মিলনের আজন্ম লালিত স্বপ্ন মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় শোষনমুক্ত সমাজ ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বিনির্মাণে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে বিশ্বসী মহাজোটকে বিজয়ী করার কোন বিকল্প নাই। এরশাদ সরকারের গণবিরোধী স্বাস্থ্য নীতির বিরুদ্ধে যে আন্দোলনে ডা. মিলন শহীদ হয়েছিলেন সেই গণবিরোধী স্বাস্থ্য নীতির প্রণেতা সেই ঘৃণিত চিকিৎসক আবারো ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে অন্য মুখোশে, তাদেরকে প্রতিহত করতে হবে নইলে মিলনের রক্তের বিনিময়ে যে গণমুখী “জাতীয় স্বাস্থ্যনীতি-২০১১” মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিকে উপহার দিয়েছিলেন তার বাস্তবায়ন থমকে যাবে। বিএমএ দপ্তর সম্পাদক ডা. মোহাঃ শেখ শহীদ উল্লাহ অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন। ”

বাংলা টিভি/টিএইচ/এবি

সংশ্লিষ্ট খবর

Back to top button