fbpx
Uncategorized

পাসপোর্টের ব্যাগটা ভুলে রেখে আসি: ক্যাপ্টেন ফজল

দীর্ঘ ৩০ বছরের পেশাগত জীবনে পাসপোর্ট সঙ্গে না নেওয়ার মতো ভুল কখনও করেননি বাংলাদেশ বিমানের পাইলট ক্যাপ্টেন ফজল মাহমুদ চৌধুরী।ক্যাপ্টেন ফজল মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আমার ট্রিপ কনফার্ম হওয়ার পর সোমবার (৩ জুন) পাসপোর্ট নিয়ে গিয়েছিলাম ডলার এনডোর্স করাতে গুলশানের একটি ব্যাংকে। সাধারণত আমার ব্যক্তিগত ছোট একটি ব্যাগে আমি পাসপোর্টটা রাখি। ওখানেই ছিল। তো, কাজ শেষ হওয়ার পরে আমি শাহজালাল বিমানবন্দরে ফ্লাইট অপারেশন অফিসে গিয়ে ব্যাগটা মনে হয় ভুলে রেখে আসি। আমার কলিগরা সেটা দেখে লকারে রেখে দেয়।

তিনি বলেন, ‘বুধবার (৫ জুন) রাতের ফ্লাইটে ঢাকা থেকে দোহার ট্রিপ করি। আমাদের দেশে যেমন পাসপোর্ট হলো মেশিন রিডেবল। ওখানে কিন্তু মেশিনটাই পাসপোর্ট রিডেবল। তো আমি ওখানে যাওয়ার পর পাসপোর্ট দেখেনি। কিন্তু দুই আঙুলের ছাপ নেওয়া হয়েছে। পরে যখন দোহায় ল্যান্ড করি, তখন আমি আমার ওই ব্যাগ আর পাসপোর্ট খুঁজে পাই নাই। বিষয়টা নিয়ে পরে আমি দোহা এয়ারপোর্টে বিমানের স্টেশন ম্যানেজারের সঙ্গে যোগযোগ করি।

ঢাকায় বিমান অফিসে যোগাযোগ করার পর তার ব্যাগটি কার্যালয়ের লকারে আছে জানতে পারেন ক্যাপ্টেন ফজল মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘ব্যাগটা ঢাকায় আছে জানার পর আমি আরেক ফ্লাইটে তা পাঠিয়ে দিতে বলি। যেহেতু পাসপোর্ট নাই, আমি আর দোহা বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশনে যাইনি। এয়ারপোর্টেই অরিক্স হোটেলে ছিলাম। পরের দিন (বৃহস্পতিবার, ৬ জুন) পাসপোর্ট পাওয়ার পর ইমিগ্রেশন ক্লিয়ার করাই।

এ সময়ের মধ্যে কাতার ইমিগ্রেশনের পক্ষ থেকে পাসপোর্টের বিষয়ে তার কাছে কিছু জানতে চাওয়া হয়নি বলেও জানান ফজল মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘তারা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের কাছেও কোনো অভিযোগ করেনি। আমাকেও আলাদা করে কিছু জিজ্ঞাসা করেনি।ক্যাপ্টেন ফজল আরও বলেন, ‘আমার দীর্ঘ পেশাগত জীবনে (৩০ বছর) এ ধরনের ভুল কখনো হয়নি। কিন্তু এটা কীভাবে হয়ে গেল, তা আমি বুঝতেই পারছি না। এটা আমার আর মনেই আসে নাই। ফ্লাইটে যাওয়ার যে ব্যাগ, আমি তো ওইটা ওখানেই রাখি। ওই দিন রেডি হয়ে নেমে গিয়েছি।

তিনি আরও জানান, আপাতত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বহন করতে কাতার যাওয়া উড়োজাহাজের পাইলটের দায়িত্ব থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে তাকে। তার পরিবর্তে বিমানের জ্যেষ্ঠ পাইলট ক্যাপ্টেন আমিনুল ইসলামকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।

এ সময় নিজে স্বাভাবিক আছেন বলেও জানান বাংলাদেশ বিমানের এই পাইলট। নিজের ভুলের কথা স্বীকার করে তিনি আরও বলেন, ‘এই রকম পরিস্থিতিতে পরিবারের অবস্থা একটু খারাপই হয়। কিন্তু আমাদের সতর্ক থাকতে হয়। এই ভুলটা হয়ে গেছে। তবে যারা এসব ব্যাপারে লিখে তাদেরও লেখার সময় সতর্ক থাকতে হবে। বলে দিলো, আমাকে অ্যারেস্ট করা হয়েছে। আমাকে অ্যারেস্ট করা হয় নাই। কাতারের ওরা যথেষ্ট কো-অপারেটিভ। ওরা আমার কাছে জানতে চেয়েছে, হেল্প করেছে।

বাংলাটিভি/পিয়াস

সংশ্লিষ্ট খবর

Back to top button