ঘটনাস্থল ও এর আশপাশ থেকে উদ্ধার হওয়া আলামত ও মৃত্যুর আগে বান্ধবীদের সঙ্গে রুম্পার কথোপকথনের সূত্র ধরে তদন্ত সংশ্লিষ্টরা ধারণা করছেন, স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী রুবাইয়াত শারমিন রুম্পার (২০) মৃত্যুরহস্যের ঘটনাটি আত্মহত্যা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সহপাঠী আবিদাকে রুম্পা ফেসবুকের ম্যাসেঞ্জারে নক করে বলেন, ‘দোস্ত আমাকে মাফ করে দিস, ভুল হলে। আমার জীবনের সবকিছুই শেষ।’ এটিই ছিলো রুম্পার শেষ কথা।
প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বাদানুবাদের এক পর্যায়ে তিনি দৌড়ে ছাদে গিয়ে লাফিয়ে পড়তে পারেন। তবে বিষয়টি এখনো পরিষ্কার নয়’ বলে জানালেন, ডিবির যুগ্ম কমিশনার মাহাবুবুল আলম। কেননা সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গেছে, তার আগ মুহুর্তে ‘ওই ভবনটিতে রুম্পা তার বয়ফ্রেন্ড সৈকতের সঙ্গে প্রবেশ করেছিলেন। এ কারণে সৈকত নামের ওই যুবককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
অন্যদিকে, ঘটনাস্থলের দক্ষিণ পাশের একটি ছাদ থেকে তদন্তকারী সংস্থা সিআইডি চুল, সিগারেটের উচ্ছিষ্ট অংশ, স্যান্ডেলের ছাপ এবং ব্যবহৃত কনডমসহ কিছু আলামত সংগ্রহ করেছে। পুলিশের রিপোর্ট অনুযায়ী রুম্পার মেরুদণ্ড, বাম হাতের কনুই ও ডান পায়ের গোড়ালি ভাঙা। মাথা, নাক, মুখ জখম এবং রক্তাক্ত অবস্থায় ছিল। বুকের ডান দিকে ক্ষত চিহ্ন রয়েছে।
আলামত ও বান্ধবীদের সঙ্গে কথোপকথনের সূত্র ধরে তদন্তকারীরা ধারণা করেন, রুম্পা ‘আত্মহত্যা’ করেছেন। তবে সৈকতসহ রুম্পার বান্ধবীদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষ হলেই উঠে আসবে প্রকৃত তথ্য। আরও বিস্তারিত জানার জন্য প্রযুক্তির সাহায্য নিচ্ছেন তদন্তকারী সদস্যরা।
এ দিকে শনিবার (৭ ডিসেম্বর) রাতে রাজধানীর খিলগাঁও এলাকা থেকে সন্দেহভাজন হিসেবে রুম্পার সাবেক প্রেমিক আবদুর রহমান সৈকতকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। সৈকত স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএর সাবেক শিক্ষার্থী। পুলিশ বলছে, হত্যা মামলাটি আত্মহত্যা মামলা হয়ে সৈকতকে প্ররোচনায় অভিযুক্ত করা হতে পারে।