লকডাউন উঠিয়ে স্বাভাবিক গতি ফিরিয়ে আনতে চায় গ্রীস
করোনাভাইরাস মোকাবেলায় জারিকৃত লকডাউন উঠিয়ে দৈনন্দিন জীবনে স্বাভাবিক গতি ফিরিয়ে আনতে একটি রূপরেখা ঘোষণা করেছেন গ্রীসের প্রধানমন্ত্রী। মোট তিনটি স্তরে বিশেষ নিয়ম কানুন ও নির্দেশনা মেনে সবকিছুকে সচল করা হবে বলে জানিয়েছে দেশটির সরকার।
গত সপ্তাহে সরকারের এক প্রজ্ঞাপনে এপ্রিলের ২৭ তারিখের লকডাউন বাড়িয়ে ৪ মে পর্যন্ত নির্ধারণ করেছিলেন। গ্রীস সরকারের নতুন সিদ্ধান্ত ঘোষণার মাধ্যমে জানিয়েছেন ৪মে থেকে লকডাউন উঠিয়ে দেয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে সব কিছু নির্ভর করবে পরিস্থিতির উপর।
জনগণ বাইরে বের হলে আর কোন নিয়ম অনুসরণ করা লাগবে না যেমন- ১৩০৩৩ এ মেসেজ দেয়া লাগবে না। শহরের ছোট ছোট সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, সেলুন, ফার্স্টফুড ইত্যাদি খুলতে পারবেন। ১১ মে থেকে ২৫ মে’র মধ্যে স্কুল ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং ১৫ মে থেকে সরকারী নানা অফিস আদালত খুলে দেয়া হবে। ১৭ মে থেকে গীর্জাসহ সব ধরনের উপাস্যনালয় মিউজিয়াম ও কালচ্যারাল সেন্টারগুলো খুলে দেয়া হবে।
তবে সবকিছুতে সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখতে হবে। মে মাসের শেষ দিকে ও জুনের শুরুতে শপিং সেন্টার, মল, কল কারখানা, বড় বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, দূরপাল্লার যানবাহন, খুলে দেয়া হবে। পাশাপাশি ১লা জুন থেকে রেস্তোরাঁ, খাবারের দোকান, কফি, বার, বাইরে বসা যায় এমন ব্যাবসাগুলো খুলে দেয়া হবে।
এছাড়া প্রতি ২৪ ঘন্টা পরিস্থিতি বিশেষ ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হবে। জুনের ১৫ থেকে নাইটক্লাব, বিনোদন কেন্দ্র, খেলাধূলার জায়গা, ব্যায়ামাগার, সুইমিং পুল, সমুদ্র তীরবর্তী প্রতিষ্ঠান সমূহ খুলে দেয়া হবে। জুনের শেষ ভাগে হোটেল, দ্বীপের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, সিজনাল ব্যবসা, টুরিজম সংক্রান্ত ব্যবসা, জরুরী কিছু ফ্লাইট চালু হতে থাকবে।
তবে সবকিছুতেই রয়েছে নানা সাবধানতামূলক বিধিনিষেধ ও জরিমানা সহ শাস্তি মূলক ব্যবস্থা। বিশ্লেষকদের অভিমত, লকডাউনের ব্যপারে সরকার তিনটি ধাপ ঘোষণা করলেও আপাতত গ্রীস স্বাভাবিক পর্যায়ে আসা সহজ হবে না। বিশ্বের অনেক দেশ স্বাভাবিক হলে ও পুণরায় আক্রান্তের দৃষ্টান্ত রয়েছে ঠিক একই লক্ষ্মণ গতকাল ও আজকের মধ্যে কিছু টা লক্ষ্যণীয়।
জাকির হোসাইন, গ্রীসের এথেন্স প্রতিনিধি