fbpx
দেশবাংলা

দশ হাজার পরিবারের ঘরে খাবার নিয়ে ‘মাস্তুল ফাউন্ডেশন’

‘ঘরে থাকুন সুস্থ থাকুন’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সমাজের অসহায়, গরীব, নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্তের মানুষের পাশে দাড়িয়েছে মাস্তুল ফাউন্ডেশন। ২০১৩ সালে মাত্র ২৫ জন ছিন্নমুল বাচ্চার পড়াশোনার খরচ নিজ কাঁধে তুলে নেন ‘মাস্তুলে’র প্রতিষ্ঠাতা কাজী রিয়াজ রহমান আসিফ।

আজ সারা বিশ্ব যখন করোনা ভাইরাসের ভয়াল থাবায় যবুথবু অবস্থা, আমাদের বাংলাদেশেও বিরাজ করছে সেই ভয়াবহ অবস্থা। দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে এবার শুধু ছিন্নমুল শিশু নয়, মাস্তুল ফাউন্ডেশন সহযোগিতার হাম বাড়িয়ে দিয়েছেন সমাজের অবহেলিত সব শ্রেনীপেশার মানুষের দিকে। বাদ যায়নি মধ্যবিত্ত পরিবার। খুজে বের করে তাদের পরিচয় গোপন পরিবারের কাছে তুলে দেয়া হয়েছে। নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রী।

‘সকলের তরে সকলে আমরা প্রত্যেকে আমরা পরের তরে’। বহু বছর আগে লেখা কামিনী রায়ের এই কবিতার যেন তার যথার্থতা খুজে পায় কাজী রিয়ার রহসান আসিফের তার এই অবদানের কারণে। দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে একদল মানুষ যখন চালচুরিতে ব্যস্ত। ঠিক সেই সময় নিঃস্বার্থভাবে এগিয়ে এসেছে কাজী রিয়াজ রহমান ও তার সংগঠন মাস্তুল ফাউন্ডেশনের কিছু উদার মনের মানুষ। এরপর ধীরে ধীরে শুরু পথ চলা। বর্তমানে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ ভাবে প্রায় ১৬৫০ জন বাচ্চার দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।

বর্তমানে করোনা পরিস্থিতিতে অঘোষিত লকডাউনে বিপদে পরেছে অসংখ্য খেটে খাওয়া মানুষসহ মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারে লোকজন। সম্মান ও লজ্জায় এসব পরিবারের মানুষ কারও কাছে সাহায্য চাইতে না পেরে মানবেতর জীবন যাপন করছে। ঠিক সেই সময় এসব পরিবারের মানুষের দিকে সাহায্যর হাত বাড়িয়ে দেয় ‘মাস্তুল’ ফাউন্ডেশন। মাস্তুল ফাউন্ডেশনের একটি হট নম্বর তাদের ফেসবুক পেজে শেয়ার করেছে সাহায্য প্রদানের জন্য।

এছাড়া সাহায্যের জন্য যারা ফোন করে, তাদের নাম পরিচয় সম্পূর্ণ গোপন রেখে তাদের বাড়িতে গিয়ে সাহায্য পৌঁছে দিয়ে আসে ‘মাস্তুল’ পরিবারের সদস্যরা। এমনকি তারা ছোট কোমলমতি শিশুদের জন্যও পৌঁছে দিচ্ছে শিশু খাবার। মাস্তুলের পরিচালক জানান দশ হাজার পরিবারকে সাহায্য করার লক্ষ্যে কাজ করছে তারা। এছাড়া পরিস্থিতি যতদিন স্বাভাবিক না হয় ততদিন তারা আন্তরিকভাবে চেষ্টা করে যাবেন এই কার্যক্রম অব্যাহত রাখার।

সংশ্লিষ্ট খবর

Back to top button