
জরুরি ভিত্তিতে ঈদে বাড়িতে যাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারির পাশাপাশি স্থানীয় প্রশাসন বিশেষ করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা চেয়ারম্যান, ইউপি চেয়ারম্যান, মেম্বাররা তাদের স্ব-স্ব এলাকায় নগর ফেরত কোনও লোকজন যাতে প্রবেশ করতে না পারে, সে ব্যবস্থা নিতে আহ্বান জানিয়েছে, বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।
বুধবার (২৯ এপ্রিল) গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিবৃতিতে সংগঠনের মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী এ আহ্বান জানান। তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে ইতোমধ্যে ইন্দোনেশিয়াসহ পৃথিবীর বহু দেশে ঈদে গ্রামের বাড়ি যাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।
এছাড়া ব্যক্তিগত যানবাহন ও পণ্যবাহী পরিবহনে ঈদে লোকজনের যাতায়াত বন্ধে হাইওয়ে পুলিশ, জেলা পুলিশ ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতা বাড়ানোরও আহ্বান জানান তিনি।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, করোনা পরিস্থিতিতে লকডাউনের মধ্যেু ঈদের ছুটিতে বাড়িতে যাওয়ার চেষ্টা করবে সাধারণ মানুষ। এতে ভাইরাসের সংক্রমণ ভয়াবহ রূপ নিতে পারে। শুরুতেই ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে অদুরদর্শী সিদ্ধান্তে গণপরিবহন বন্ধ না করেই সরকারি ছুটি ঘোষণা এবং লাখো মানুষ ঢাকা ছাড়ার দৃষ্টান্ত আমরা প্রত্যক্ষ করেছি।
আবার গণপরিবহন বন্ধ রেখে দুই দফায় গার্মেন্টস, কল-কারখানা সীমিত আকারে চালু করার কথা বলে কর্মীদের ঢাকামুখী করার দৃশ্যও দেখা গেছে। তাই করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে ঈদুল ফিতরে গ্রামের বাড়ি যাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হোক।