ওসি প্রদীপের রোষানলের শিকার নানা শ্রেনী-পেশার মানুষ
মেজর সিনহা হত্যাকান্ডে জড়িত ওসি প্রদীপের রোষানলের শিকার হয়েছিলেন চট্টগ্রামের নানা শ্রেনী-পেশার মানুষ। তার এসব অপকর্মের বিষয়ে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশে জমা পড়েছিল অভিযোগের পাহাড়। কিন্তু ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এসব ব্যাপারে কোনো ব্যবস্থা না নেয়ায় বেপরোয়া হয়ে উঠেন প্রদীপ।
উল্টো শাস্তির পরিবর্তে উল্টো পেয়েছেন পিপিএম, বিপিএম পুরস্কারসহ ভালো জায়গায় পোস্টিং। এদিকে, চট্টগ্রামেও একে একে ফাঁস হচ্ছে ওসি প্রদীপের নানা অপকর্ম।
চট্টগ্রাম বিমান বন্দরে ওসি ইমিগ্রেশন থাকাকালীন দু:সম্পর্কের বোনকে মালিক সাজিয়ে ২০১৪ সালে এক রাতেই জমিসহ দুইটি বাড়ী দখলে নেয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। জায়গা দখলের সময় সব ধরনের সহযোগিতা করলেও প্রদীপ নিজের সেই বোনের সাথে বেঈমানি করে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেন বোনের ছেলেকেও।
প্রদীপের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, নগরীর মুরাদপুরের একটি বাড়ীর মালিক মহিউদ্দিনকে ক্রসফায়ারের ভয় দেখানো হয়। আরেকটি বাড়ীর তত্ত্বাবধায়ক আকবরকে ওসি বায়েজিদের সহায়তায় ফাঁসানো হয় মাদক মামলায়।
২০১৪ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর বহিরাগতদের নিয়ে জায়গা দখলের সময় ওসি প্রদীপের বিরুদ্ধে জিডি করেন তৎকালীন পাঁচলাইশ থানার ওসি মহিউদ্দিন মাহমুদ।
চট্টগ্রামের পাথর ঘাটায় রয়েছে ওসি প্রদীপের তিনটি বাড়ী। এ ছাড়া ভারতের আগরতলা এবং অস্ট্রেলিয়াতেও রয়েছে স্ত্রী ও নিজের নামে বাড়ীসহ পাহাড়সম সম্পদ।
পুলিশের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ প্রদীপের এসব অপকর্মের বিষয়ে ব্যবস্থা না নেয়ায় তার অপকর্মের পরিধি বৃদ্ধি পেয়েছে বলে মনে করেন মানবাধিকার সংগঠক এড. জিয়া হাবীব আহসান।
আবু মুছা জীবন, বাংলা টিভি, চট্টগ্রাম