গত নভেম্বর মাসে দেশে ১৮ জন গণধর্ষণসহ মোট ১৫৩ জন ধর্ষণের এবং মোট ৩৫৩ জন নারী ও কন্যাশিশু নানা ভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ। মঙ্গলবার (১ ডিসেম্বর) মহিলা পরিষদের লিগ্যাল এইড উপ-পরিষদের একটি প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়।
তারা মূলত দেশের ১৩টি পত্রিকায় প্রকাশিত ধর্ষণের সংবাদের উপর ভিত্তি করে এই প্রতিবেদন তৈরি করেছে। প্রতিবেদনে জানানো হয়, কন্যাশিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ৯৪ জন এবং কন্যাশিশু গণধর্ষণের শিকার হয়েছে ৭ জন। শ্লীলতাহানির শিকার হয়েছে ৫ জন। যার মধ্যে শিশু রয়েছে ৩ জন।
যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছে ৭ জন যার মধ্যে শিশু রয়েছে ৬ জন। এসিডদগ্ধের শিকার হয়েছে ৪ জন শিশু এবং এসিডদগ্ধের কারণে মৃত্যু হয়েছে ১ জনের। অগ্নিদগ্ধের শিকার হয়েছে ৪ জন, যার মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২ জনের।
এদিকে, দেশে উত্ত্যক্তকরণের শিকার হয়েছে ৭ জন। শিশু অপহরণ হয়েছে মোট ১১ জন। পাচারের শিকার হয়েছে ৫ জন। বিভিন্ন কারণে ৩৮ জনকে হত্যা করা হয়েছে যার মধ্যে শিশু রয়েছে ১২ জন। এছাড়া ৫ জনকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। আর বাল্যবিবাহ সংক্রান্ত ঘটনা ঘটেছে ১৪ টি। সাইবার ক্রাইম অপরাধের শিকার হয়েছে ৩ জন, যার মধ্যে শিশু রয়েছে ১ জন।
যৌতুকের কারণে নির্যাতন হয়েছে ৯ জন, যার মধ্যে হত্যা করা হয়েছে ৪ জনকে। শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে ১১ জন, যার মধ্যে শিশু রয়েছে ৪ জন। বিভিন্ন নির্যাতনের কারণে আত্মহত্যা করেছে ১৩ জন, যার মধ্যে শিশু রয়েছে ৫ জন এবং রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে ৪৩ জনের, যার মধ্যে শিশু রয়েছে ১২ জন।
এর আগে গত অক্টোবর মাসে মোট ৪৩৬ জন নারী ও কন্যাশিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছিল। এরমধ্যে ৪৪ জন গণধর্ষণসহ মোট ২১৬ জন ধর্ষণের শিকার হয়েছিল।