দ্বিতীয় দফায় ভাসানচরে ১৮শ’ রোহিঙ্গা

দ্বিতীয় দফায় ভাসানচর যাচ্ছে আরো ১৮শ’ রোহিঙ্গা। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে আটটায় নৌবাহিনীর জাহাজযোগে বিএফ শাহীন কলেজ মাঠের অস্থায়ী ট্রানজিট পয়েন্ট থেকে তারা ভাসানচরের উদ্দেশে যাত্রা করবে। এর আগে সোমবার উখিয়া ডিগ্রি কলেজ মাঠের অস্থায়ী ক্যাম্প থেকে দুপুরে পৃথক ৩টি বহরে ৩০টির অধিক বাসযোগে তারা চট্টগ্রামে পৌঁছে।
দেখা যায়, গত রোববার রাতে পর্যন্ত উখিয়া-টেকনাফের বিভিন্ন ক্যাম্প থেকে ভাসানচরে যেতে ইচ্ছুক রোহিঙ্গাদের উখিয়া ডিগ্রি কলেজ মাঠে জড়ো করা হয়। সেখান থেকে নিবন্ধন শেষে গতকাল বাসযোগে তারা চট্টগ্রামে পৌঁছে। সাথে কাভার্ডভ্যান ভর্তি তাদের মালপত্রও নেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) শাহ রেজওয়ান হায়াতের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন ধরেননি। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি বিশেষ সংস্থার এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ‘তিন বহরে উখিয়া ডিগ্রি কলেজ মাঠ থেকে গতকাল সোমবার বিকেল পর্যন্ত ৩০টির অধিক বাসে করে ৪৪২ পরিবারের ১৮০৪ জন রোহিঙ্গা চট্টগ্রামের পথে রওয়ানা দিয়েছে।’ তিনি আরো জানান, যারা ভাসানচর যাচ্ছে তারা সবাই ভালো ও সুস্থ রয়েছে।
গতকাল সকালে উখিয়ার বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দেখা গেছে, ‘সকাল ৭ টায় পুলিশ, এপিবিএন, র্যাব ও অন্যান্য বাহিনীর কড়া নিরাপত্তার মধ্যে ক্যাম্পে আসতে থাকে একাধিক বাস, ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান। ক্যাম্পে প্রক্রিয়া শেষে রোহিঙ্গাদের গাড়িতে তোলা হয়। এর আগে তাদের মধ্যে অনেকের স্বজন প্রথম দফায় ভাসানচরে গিয়েছে। পরে বাসযোগে উখিয়া ট্রানজিট পয়েন্ট ও কলেজের অস্থায়ী ট্রানজিট ঘাটে প্রক্রিয়া শেষ করে তারা চট্টগ্রামের উদ্দেশে যাত্রা করে।
টেকনাফ শামলাপুর রোহিঙ্গা শিবিরের কর্মকর্তা (সিআইসি) নওশের ইবনে হালিম বলেন, ‘তার শিবির থেকে স্বেচ্ছায় একশ রোহিঙ্গা ভাসানচরের উদ্দেশে ক্যাম্প ত্যাগ করেছে। এর আগের এ শিবির থেকে ২১ পরিবার ভাসানচরে পৌঁছেছে। এদিকে আজ মঙ্গলবার রোহিঙ্গাদের ২য় দলটি ভাসানচরে পৌঁছবে বলে জানিয়েছেন নোয়াখালীর জেলা প্রশাসক (ডিসি) খোরশেদ আলম খান।
উল্লেখ্য, গত ৩ ডিসেম্বর প্রথম দফায় ১ হাজার ৬৪২ জন রোহিঙ্গা ভাসানচর গিয়েছিল। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে, রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছায় ভাসানচর যাওয়ার নিবন্ধনের কাজ অব্যাহত আছে। এ সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে।