fbpx
দেশবাংলা

উল্কার দাপটে নাকাল এলাকাবাসী

এই দানব যানটির নাম উল্কা, এই যানটি এখন পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার মানুষের কাছে দানব হিসেবে পরিণত হয়েছে। গত এক বছরে উল্কা নামের এই যানের চাকায় পিষ্ট হয়ে প্রাণ গেছে কমপক্ষে এক ডজনেরও বেশি মানুষ। পঙ্গুত্ববরণ করে অনেক মানুষের মানুষের স্বপ্ন ধুলিসাৎ করে দিয়েছে এই উল্কা নামের দানবটি। ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে একের পড় এক সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা।

অভিযোগ রয়েছে, সরকার দলীও প্রভাবশালীরা এই উল্কা ব্যবসায় জড়িত থাকার কারনেই এই যানটির বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থাই নিচ্ছেন না সংশ্লিষ্ট প্রশাসন।

উপজেলার পৌরশহড় থেকে বন্দর, বন্দর থেকে গ্রামাঞ্চলের যে কোন স্থানে একটু দাড়ালেই দেখতে পারবেন বিকট শব্দে বালু, ইট কিংবা রড সিমেন্টসহ নানা প্রকার মাল বোঝাই করে উল্কা নামের এই যানটি পথ কাঁপিয়ে চলছে। শহর ও আশপাশের ব্যাস্ততম সব সড়ক এখন এসব অবৈধ যানের দখলে।

এই যন্ত্রদানবের বেপরোয়া চলাচলের কারণে এখন সব রাস্তায় আতঙ্ক। অদক্ষ ও লাইসেন্সবিহীন চালকদের দ্বারা পরিচালিত বিকট শব্দ আর ব্রেক, হেডলাইটবিহীন এসব সড়ক দানব অহরহ মানুষের প্রাণ কেড়ে নিচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বিকট শব্দে উপজেলার প্রধান সড়ক সহ প্রত্যন্ত অঞ্চলে কাঁপিয়ে বেপরোয়া গতিতে চলছে যে উল্কা তা মুলত ট্রাক্টর বা পাওয়ার টিলার। এ ধরনের যান কেবল জমি চাষের জন্য অনুমোদিত। রাস্তায় এসব যানবাহনের চলাচলের অনুমতি নেই। নেই বিআরটিএর কোনো অনুমতি। অদক্ষ ও অপ্রাপ্তবয়স্ক চালকের হাতে স্টিয়ারিং পড়ে ভয়ংকর হয়ে উঠছে এসব সড়ক দানব।

পণ্য পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত ট্রাক্টর ও পাওয়ার টিলারের কারণে দুর্ঘটনার সংখ্যা বেড়ে গেছে বহুগুণ। নষ্ট করে ফেলছে উপজেলার অভন্তরীন গুরুত্বপূর্ন সড়ক গুলো সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কর্তা ব্যাক্তিরা দেখেও না দেখার ভান করে আছে। উপজেলায় প্রায় কয়েকশ এর বেশি যন্ত্র দানব উল্কা রয়েছে। আর এই উল্কার অধিকাংশ মালিক সরকার দলীও প্রভাবশালী ব্যাক্তিদের হওয়ায় সাধারন মানুষ তো দুরের কথা প্রশাসনের কর্তা ব্যাক্তিরাও অসহায়।

জেলা পরিষদের সদস্য হারুন অর রসিদ খান বলেন, উল্কা নামের এই অবৈধ যানবাহনের কারনে বেড়েছে দুর্ঘটনা। অতিরিক্তি মাল বোঝাই করে চলাচলে কারনে বন্দরের সড়ক গুলো একেবারেই চলা চলের অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে। এর বিরুদ্ধে দ্রুত সময়ের মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবী জানাচ্ছি।

পৌর শহরের বাসিন্দা বাউফল প্রেসক্লাবের সভাপতি কামরুজ্জামান বাচ্চু বলেন, এই অবৈধ যানটির কারনে অকালে একের পড় এক প্রাণ ঝড়ে যাচ্ছে, নেওয়া হচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে কোন আইনি ব্যবস্থা। নষ্ট হয়ে যাচ্ছে এলাকার সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা। সর্বশেষ গত শনিবার এই উল্কার ধাক্কায় প্রাণ গেল উপজেলার কনকদয়িা স্যার সলমিুল্লাহ স্কুল অ্যান্ড কলজেরে ইংরজেী বভিাগের শিক্ষক মো. সরোয়ার হোসেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন বলেন, এ বিষয়ে খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কৃষ্ণ কর্মকার, বাউফল প্রতিনিধি

সংশ্লিষ্ট খবর

Back to top button