
রোহিঙ্গা শীর্ষ নেতা মোহাম্মদ মুহিবুল্লাহকে গুলি করে হত্যা ঘটনায়, কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফে ক্যাম্পে অবস্থানরত শরনার্থীদের মাঝে আতংক বিরাজ করছে। অস্ত্রধারীদের এই হামলার জন্য সাধারণ রোহিঙ্গারা উগ্রবাদি সংগঠন ‘আরসা’কে দায়ী করেছেন। নিহত রোহিঙ্গা নেতা মহিবুল্লাহ আরকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস এন্ড হিউম্যান রাইটস সংগঠনের চেয়ারম্যান ছিলেন। তার মরদেহের ময়নাতদন্ত করে দাফন সম্পন্ন হয়েছে। ক্যাম্পের নিরাপত্তা জোরদার করেছে আইনশৃংখলা বাহিনী।
কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের আলোচিত শীর্ষ নেতা মুহিবুল্লাহকে বুধবার রাতে একদল অস্ত্রধারী গুলি করে হত্যা করে। কুতুপালংয়ের লম্বাশিয়া ক্যাম্প এলাকায় ইস্ট-ওয়েস্ট ১নং ব্লকে তার উপর এ হামলা চালানো হয়। গুরুতর অবস্থায় এপিবিএন সদস্যরা মহিবুল্লাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়ার পর, মৃত ঘোষণা করা হয় তাকে।
এ ঘটনায় ক্যাম্পে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের মধ্যে আতংক ছড়িয়ে পড়েছে। মুহিবুল্লাহর উপর হামলার জন্য উগ্রবাদি সংগঠন আরসা’কে এজন্য দায়ী করেছে সাধারণ রোহিঙ্গারা।
২০১৯ সালের ২৫ আগস্ট কুতুপালং ক্যাম্পে রোহিঙ্গাদের বিশাল সমাবেশ করেই আলোচনায় আসেন মুহিবুল্লাহ। নিপীড়িত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর অধিকার আদায়ে, বিশ্ব জনমত গঠনে জোরালো ভূমিকা রাখেন তিনি।
পরবর্তীতে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফর করে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথেও সাক্ষাতে, রোহিঙ্গাদের উপর মিয়ানমারের নির্যাতনের কথা তুলে ধরেন মুহিবুল্লাহ।
মোহাম্মদ মুহিবুল্লাহ আরকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস এন্ড হিউম্যান রাইটস সংগঠনের চেয়ারম্যান ছিলেন। সাধারণ রোহিঙ্গাদের দাবি-দাওয়া নিয়েই লড়ে আসছিলেন তিনি। তাকে হত্যার ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত চেয়েছেন শরনার্থী শিবিরের রোহিঙ্গারা।
বাংলাটিভি/শহীদ