অর্থ আত্মসাতসহ বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগে শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীকে দুদকে জিজ্ঞাসাবাদ।
রবিবার সকাল দশটায় রাজধানীর সেগুনবাগিচা দুদকের প্রধান কার্যালয়ে হাজির হন তিনি। এর পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ কক্ষে নেয়া হয়। অনুসন্ধান কর্মকর্তা উপ-পরিচালক মোহাম্মদ ইব্রাহিম তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন। তার বিরুদ্ধে ভুয়া বিল ভাউচারের মাধ্যমে একাডেমির বিপুল অর্থ আত্মসাতসহ কয়েকটি সুনির্দিষ্ট অভিযোগ এলে যাচাই বাছাই করে দুদক অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয়।
অনুসন্ধান কমিটি তার কাছে ২০১৯-২০ এবং ২০-২১ অর্থবছরে শিল্পকলা একাডেমির জন্য বরাদ্দ বাজেট এবং ব্যয় সংক্রান্ত রেকর্ডপত্রের ফটোকপি তলব করে। এছাড়াও ২০২০-২১ অর্থবছরে ভার্চুয়াল অনুষ্ঠান আয়োজন সংক্রান্ত রেকর্ডপত্র, ২০১৯-২০২০ অর্থবছর থেকে ৩১শে ডিসেম্বর ২০২১ তারিখ পর্যন্ত ব্যয় সংক্রান্ত বিভিন্ন ভাউচার, ক্যাশ বই এবং শিল্পকলা একাডেমির নামে সোনালী ব্যাংক, সেগুনবাগিচা শাখা থেকে স্টেটমেন্টের কপি চাওয়া হয়েছে একাডেমির মহাপরিচালকের কাছে।
এর আগে, ৬ই জানুয়ারি বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক (ডিজি) লিয়াকত আলী লাকীকে তলব করে নোটিশ পাঠায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।তলবি নোটিশে বলা হয়েছে, মো. লিয়াকত আলী লাকী, মহাপরিচালক, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, ঢাকা এর বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণ, ক্ষমতার অপব্যবহার, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতিসহ ভুয়া বিল ভাউচারের মাধ্যমে শত শত কোটি টাকা আত্মসাতসহ বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জন ও বিদেশে অর্থ পাচারের অভিযোগ রয়েছে। সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে আপনার বক্তব্য গ্রহণ করা একান্ত প্রয়োজন। এমতাবস্থায়, আগামী ১৬ জানুয়ারি সকাল ১০টায় দুর্নীতি দমন কমিশন, প্রধান কার্যালয়, সেগুনবাগিচা, ঢাকায় নিম্নস্বাক্ষরকারীর কাছে উপস্থিত হয়ে অনুসন্ধানকার্যে সহযোগিতা করার নিমিত্ত বক্তব্য প্রদানের জন্য আপনাকে বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো।
দুদকে আসা অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, প্রায় এক যুগ ধরে শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালকের দায়িত্বে থাকা লিয়াকত আলী লাকী অনিয়মের মাধ্যমে সরকারি তহবিল থেকে ২৬ কোটি টাকা তুলে নেন।
বাংলাটিভি/শহীদ