fbpx
বাংলাদেশআওয়ামী লীগরাজনীতি

ছয় দফা ছিল স্বাধীনতার টার্নিং পয়েন্ট: দীপু মনি

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি বলেছেন, ছয় দফা ছিল বাঙালির স্বাধীনতার টার্নিং পয়েন্ট।

আজ বুধবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের আব্দুস সালাম হলে ঐতিহাসিক ৬ দফা দিবস পালন উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু পরিষদের উদ্যোগে ‘৬-দফা: বাঙালির মুক্তির সনদ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
দীপু মনি বলেন, ৬-দফা নিয়ে অনেক বিতর্ক ছিল, দলের মধ্যে মতপার্থক্যও ছিল। কিন্তু বঙ্গবন্ধু ভাবতেন এই ৬-দফাই একদিন বাঙালির রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক মুক্তি এনে দিবে।

তিনি বলেন, ৬-দফা ছিল পূর্ব বাংলার জনগণের বাঁচা-মরার লড়াই, প্রাণের দাবি। এই দাবিগুলো বাস্তবায়িত হলে বাংলার দুঃখী মানুষের ভাগ্যে পরিবর্তন আসবে, পাকিস্তানের দুই অঞ্চলের অর্থনৈতিক বৈষম্য দূর হবে এবং বাঙালি চিরতরের জন্য শোষণ বঞ্চনার হাত থেকে মুক্তি পাবে।

বঙ্গবন্ধু পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মূল নিবন্ধ উপস্থাপন করেন বিশিষ্ট সাংবাদিক ও বঙ্গবন্ধু পরিষদের প্রেসিডিয়াম সদস্য অজিত কুমার সরকার।

সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. আ ব ম ফারুকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও বঙ্গবন্ধু পরিষদের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ফায়েকউজ্জামান, বিশিষ্ট সাংবাদিক, কলামিস্ট ও মুক্তিযুদ্ধ গবেষক অজয় দাশগুপ্ত, বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম লুৎফুর রহমান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

আরেফিন সিদ্দিক বলেন, বঙ্গবন্ধু ১৯৪৮ সালেই বুঝতে পেরেছিলেন ঔপনেবেশিক ও ধর্মরাষ্ট্র পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় কাঠামোর মধ্যে থেকে কোনদিনই বাংলার দুঃখী মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন সম্ভব নয়। তাই তিনি বাঙালির মুক্তি ও স্বাধীনতার জন্য ৬-দফা দাবি উত্থাপন করেছিলেন।

তিনি বলেন, ৬-দফা শুধু বাঙালির স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয় ছিল না, এটা ছিল সমগ্র পাকিস্তানের ন্যায়সঙ্গত ও যৌক্তিক দাবি। এই ৬-দফা দাবি ছিল পৃথিবীর নির্যাতিত, নিপীড়িত, অবহেলিত মানুষের প্রাণের দাবি।
শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ৬-দফা দাবি বাংলাদেশের মুক্তি-সংগ্রামের ইতিহাসে এক অনন্য ঘটনা। ৬-দফা বাঙালির স্বাধীনতার মূল ভিত্তি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন ৬-দফার প্রবক্তা। তিনি বুঝতে পেরেছিলেন বাঙালি মুক্তি ও স্বাধীনতার ক্ষেত্রে ৬-দফাই একদিন পথ দেখাবে এবং বাঙালির অর্থনৈতিক মুক্তি ও শোষণ বঞ্চনার চির অবসান ঘটাবে।

ফায়েকুজ্জামান বলেন, বঙ্গবন্ধু দূরদর্শী, বিচক্ষণ, সৎ ও সাহসী নেতা ছিলেন। তিনি লাহোর প্রস্তাবের ভিত্তিতেই পূর্ব বাংলার পূর্ণ স্বায়ত্বশাসন দাবি তোলেন। তাঁর নিজের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা ও জনগণের সমস্যা জেনেই ৬-দফা দাবি পেশ করেন এবং ৬-দফাভিত্তিক আন্দোলনে বিজয়ী হয়ে স্বাধীন দেশের সংবিধানে ৬-দফার দাবিসমূহ সন্নিবেশিত করেন। মোট কথা বাঙালির আতœ-পরিচয় ও আতœ-নিয়ন্ত্রণের অধিকারসমূহ ৬-দফায় অত্যন্ত জোড়ালোভাবে সংযোজন করা হয়েছিল।

অজয় দাশগুপ্ত বলেন, ৬-দফার ব্যাপক জনসমর্থন দেখে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে মিথ্যা ষড়যন্ত্র মামলা দায়ের করে তাকে ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলাতে চেয়েছিল। কিন্তু বাংলার বন্ধু বঙ্গবন্ধু এতই জনপ্রিয় ছিলেন যে, পাকিস্তান সরকার সকল অত্যাচার, নির্যাতন, মামলা, হামলা দিয়েও ৬-দফার গতি রোধ করতে পারেনি।

সংশ্লিষ্ট খবর

Back to top button